সমীকরণের মারপ্যাঁচ মাথায় নিয়েই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে নেমে বল হাতে পারভেজ-বর্ষণরা কাজটা আগেই করে দিয়েছেন। পরে আরিফুল ও জিসানের জোড়া ফিফটিতে বড় জয় নিশ্চিত করেছে যুবা টিম টাইগার্স।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে সুপার সিক্সে এসেছে বাংলাদেশ। সেমির পথ সুগম করতে নেপালের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের বিকল্প ছিল না টাইগারদের হাতে। বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতে নেপালকে ব্যাটে পাঠায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে থামে নেপালের ইনিংস। জবাবে ২৪.৪ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।
নেপালের দেয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত শুরু পান দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী ও জিসান আলম। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান তোলেন দুজনে। ৩৪ বলে ১৬ রান করে শিবলী ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ১৩.৬ ওভারে দলীয় ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরে যান ১১ বলে ১৫ রান করে।
১৫.৩ ওভারে দলীয় ৯২ রানে জিসানও ফিরে যান ফিফটি পূর্ণ করে। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৫ রান করেন এই ওপেনার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আহরার আমিনকে সঙ্গী করে একপ্রান্তে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। ২১.৪ ওভারে আহরার ফিরে যান ১৭ বলে রান করে। ২৩.২ ওভারে দলীয় ১৫৩ রানে পঞ্চম ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। পরে শেখ পারভেজ জীবনকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন আরিফুল। সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৯ রানের অপ্রতিরোধ্য ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। আর পারভেজ অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ৫ রানে।
নেপালের হয়ে সুভাষ ভাণ্ডারী নেন পাঁচ উইকেট। ৮ ওভার বল করে ৪৪ রান খরচা করেছেন এই অফস্পিনার।
এর আগে সাউথ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে নেপালকে ব্যাটে পাঠিয়ে ২৯ রানে ৩ ব্যাটারকে ফেরায় টাইগার দল। চাপে পড়া নেপালের হাল ধরেন দেব খানাই ও বিশাল বিক্রম কেসি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৫ বলে ৬২ রান তোলেন দুজনে।
২৭.৪ ওভারে ৯১ রানে দেব খানাইকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জিসান আলম। ৬০ বলে ৩৫ রান করেন দেব। পরে বিশাল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় নেপাল। ৪২.৪ ওভারে বিশালকে ফেরান বর্ষণ। ১০০ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। ৪৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। সুভাষ ভাণ্ডারী ৩৫ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
টাইগার বোলারদের হয়ে রোহনাত দৌলা বর্ষণ চারটি, শেখ পারভেজ জীবন নেন তিনটি উইকেট। ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধা ও জিসান আলম নেন একটি করে উইকেট।