অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে হ্যারি কেনের গোলে চেলসির মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর কথার লড়াইয়ে জড়ান দুই দলের কোচ থমাস টুখেল ও এনগোলো কন্তে। শুধু কথাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, লড়াই গড়িয়েছিল হাতাহাতি পর্যন্ত। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত দুই কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
হ্যারি কেনের করা গোলের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে চেলসির সেন্ট্রাল ব্যাক মার্ক কুকুরেলার চুল টেনে ধরেছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। মাঠে সেদিন রেফারির দায়িত্ব পালন করা অ্যান্থনি টেলর এ ঘটনায় ফাউলের বাঁশি বাজাননি।
রেফারি ফাউলের সংকেত না দেয়ায় তাতে টটেনহ্যাম লাভবান হয়। কারণ ম্যাচের শেষ মুহূর্তের ওই ঘটনায় ফাউলের বাঁশি বাজলে কেনের গোল পাওয়ার সুযোগ থাকতো না। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ থেকে টটেনহ্যাম ড্র নিয়ে ফিরতে পারতো না।
চেলসি কোচ টুখেল তো রাগান্বিত হয়ে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) মাইক ডিনের সমালোচনা করেছেন। কুকুরেলা বলেছেন যে, রোমেরো তার চুল টেনে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেই অপরাধে লাল কার্ড পাওয়া উচিৎ ছিল।
তবে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন মাইক ডিন। একটি পত্রিকায় কলামে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে রোমেরো যে কুকুরেলার চুল টেনে ধরার ব্যাপারটি বোঝার চেষ্টা করতে হয়েছিল। আমি এটিকে হিংসাত্মক কাজ বলে মনে করিনি।’
‘আমি তখন ফুটেজটি পর্যালোচনা করেছি, অন্যান্য রেফারির সঙ্গে কথা বলেছি। এসবের পর আমার টেলরকে তার পিচ-সাইড মনিটরে গিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য বলা উচিৎ ছিল। মাঠের রেফারির সবসময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকে।’