জামিনের শর্ত অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা না দেওয়ায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ জন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার সিএমএম আদালত।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ওই ৫ কর্মকর্তার আইনজীবী জামিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার আদালতে হাজির হয়ে আসামিদের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিলো। তবে তারা হাজির না হলে আদালত এই আদেশ দেয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরদিন শুক্রবার ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়ে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
আসামিরা হলেন-ট্রান্সকম গ্রুপের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স পরিচালক কামরুল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সিদ্দিক এবং এসিসট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক।
অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় গত বৃহস্পতিবার তিনটি মামলা করেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেজো মেয়ে শাযরেহ হক।
তার মা ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, বড় বোন প্রতিষ্ঠানের সিইও সিমিন রহমান, সিমিন রহমানের ছেলে ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যরাইফ আয়াত হোসেনসহ ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তাকে মামলার আসামি করা হয়।
ওইদিন গুলশান থেকে এই ৫ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।