শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৭৫ রান। কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে ভর করে লঙ্কানরা ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পেয়েছে ১৭৪ রানের পুঁজি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে তাসকিন লঙ্কানদের প্রথম উইকেট তুলে নেন। স্ট্রোক খেলতে গিয়ে ৮ রান করা ধনঞ্জয়া মিডউইকেটে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হন। অতিথিদের দলীয় স্কোর তখন ১৮।
অষ্টম ওভারে রিশাদ হোসেনের হাতে বল দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় বলে ম্যাচের প্রথম ছক্কাটি মারেন কুশল মেন্ডিস। তবে রিশাদের ওপর চড়াও হলেও ভুল করেন কামিন্দু মেন্ডিস। সামনে এসে তুলে মারলেও নিয়ন্ত্রণে ছিল না কামিন্দুর। তালুবন্দি করেন শরীফুল। তাতে ২৭ বলে ৩৪ রানে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কামিন্দু।
এরপর দলীয় ১১১ রানের মাথায় ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা আপার কাট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন আরেক টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের হাতে। এক চার ও এক ছয়ে ১৩ বলে রান করেন টপ অর্ডার এই ব্যাটার।
৩ রানের বেশি করতে পারেননি চারিথ আসালাঙ্কা। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ থার্ড ম্যাচে শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন। তবে অন্য প্রান্ত থেকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। তবে সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে যান লঙ্কানদের উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
১৭তম ওভারে তাসকিনের একটি শর্ট ডেলিভারি খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন ২৯ বর্ষী কুশল। ৫৫ বলে ৮৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দারুণ এই ইনিংস ৬টি করে চার ও ছক্কা মারেন লঙ্কান তারকা।
এরপর দলীয় ১৫২ রানে রিশাদ হোসেনের বলে ৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। তাতে নিজের দ্বিতীয় উইকেট উইকেটের দেখা পেয়ে যান এই লেগ স্পিনার। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দেন রিশাদ। ৯ বলে ১৯ রান দাসুন শানাকাকে লিটন দাস রান আউট করলে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩ রানে হারে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়টিতে টাইগারদের ৮ উইকেটের বড় জয়ে ১-১ ব্যবধানে সমতায় রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সিরিজ ২০২৪।