
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের শহরগুলোতে ধারাবাহিক টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। ঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি রাজ্য বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে শত শত বাড়িঘর, হাজার হাজার মানুষ হয়ে পড়েছে বিদ্যুতহীন।
রোববার (২ এপ্রিল) বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, সর্বশেষ করা রেকর্ড অনুযায়ী ৬০ টিরও বেশি টর্নেডো হয়েছে।
আরকানসাস, আলাবামা, টেনেসি, মিসিসিপিসহ কয়েকটি রাজ্যে অনেকে ঘর-বাড়ি হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
আরকানসাস রাজ্যের নাগরিক অ্যাশলে ম্যাকমিলান বলেন, প্রচণ্ড ঝড় শেষে স্বামী ও সন্তানসহ তিনি একটি ছোট বাথরুমে তাদের পালিত কুকুরের সাথে আটকে ছিল, তখন তারা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাচ্ছিল। কারণ, তারা ভেবে ছিল তারা মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রার্থনা করছিলাম এবং একে অপরকে বিদায় জানাচ্ছিলাম, কারণ আমরা ভেবেছিলাম আমরা মারা গেছি।’

কয়েকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে টর্নেডো থেমে থেমে আঘাত হানছে। টর্নেডো আঘাত হানবে, এমন পূর্ভাবাস আগেই দিয়েছিল মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ। শনিবার রাতেও অনেক জায়গায় টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী ঝড়ে গাড়ি উল্টানো, গাছ উপড়ে পড়া এবং বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভোগান্তি চরম মাত্রায় পৌঁছেছে সেখানকার বাসিন্দাদের। এই রাজ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া টেনেসি অঙ্গরাজ্যে সাতজন, ইলিনয়ে চারজন এবং ইন্ডিয়ানায় তিনজন, আলাবামা এবং মিসিসিপি থেকেও প্রাণহানির খবর আসছে।