ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসরের প্রথম জয়। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে আফগানিস্তান। জয়ের মেজাজটা ভালোভাবেই ধরে রেখেছে তারা। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে এবার হারালো শ্রীলঙ্কাকে। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে সেমির দৌড়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখলো হাসমতুল্লাহ শহিদীর দল।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমান করেছেন বোলাররা। ৪৯.৩ ওভারে ২৪১ রানে লঙ্কানদের গুটিয়ে দেয় তারা। জবাবে নেমে রহমত শাহ’র ফিফটির পর, হাসমতউল্লাহ ও আজমতউল্লাহ’র দুর্দান্ত জুটিতে ৪৫.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে আফগানবাহিনী।
আসরে এ নিয়ে তিনটি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠলো আফগানরা। অন্যদিকে ছয় ম্যাচে দুই জয়ে লঙ্কানরা নেমেছে সাতে।
লঙ্কানদের রান তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি আফগানদের। ইনিংসের প্রথম ওভারে শূন্য রানে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৩ রান তোলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ইব্রাহিম জাদরান ফিরে যান। ৫৭ বলে ৩৯ রান করেন আফগান ওপেনার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রান তোলেন রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহিদী। ২৮তম ওভারের শেষ বলে রহমত শাহকে ফেরান কাসুন রাজিথা। ৭৪ বলে ৬২ রান করেন রহমত।
এরপর হাসমতউল্লাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই’র শতাধিক রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করে আফগানরা। দুই ব্যাটারই নিজেদের ফিফটি পূর্ণ করেছেন। ৭৪ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন হাসমতউল্লাহ। আজমতউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৭৩ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে দিশান মাধুশঙ্কা দুটি উইকেট নেন। এছাড়া কাসুন রাজিথা নেন একটি উইকেট।
এরআগে লঙ্কানদের ব্যাটে পাঠিয়ে পাওয়ার প্লেতে সাফল্য পায় আফগানিস্তান। ষষ্ঠ ওভারে ফজল হক ফারুকীর বলে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা এবং অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস হাল ধরেন। দুজনে ৭৭ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন। ৬০ বল খেলে ৪৬ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন নিশাঙ্কা।
সাদেরা সামারাবিক্রমার সাথে আরও একটি জুটি গড়েন মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৫০ রান। অধিনায়ক মেন্ডিস ৩৯ করে ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সামারাবিক্রমাও। ৪০ বল খেলে ৩৬ করে মুজিবের শিকার হন।
শেষদিকে অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ এবং মাহেশ থিকশানা ৪৫ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন। থিকশানা ৩১ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে ফারুকীর বলে বোল্ড হন। ম্যাথুজ ২৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন।
আফগানিস্তান পেসার ফজল হক ফারুকী ১০ ওভারে এক মেডেনে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন। মুজিব উর রহমান ১০ ওভারে ৩৮ রানে ২টি এবং একটি করে উইকেট নেন পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান।