এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংঙ্কের টাকাসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতেন- এমন একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এসময় তাদের কাজ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল ভেদুরিয়া এলাকার মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭) , পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহিন মন্ডলের ছেলে মো. ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া এলাকার মো. বকুল হোসেনের ছেলে মো. হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২)।
পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের মেয়েদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে প্রতারকরা নিজেদের তৈরি বিভিন্ন নামের ফেসুবক পেইজের মাধ্যমে ছবিগুলো এডিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে আসছিল। পরবর্তীতে ফেসবুক পেইজ থেকে উক্ত ছবিগুলো ডিলিট করার জন্য পেইজ এডমিনরা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি মতো টাকা না দিলে আরো আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার হুমকি দিতো। এমন অভিযোগের পরই পুলিশ অভিযানে নামে এবং অভিযানের এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এসব ফেসবুক পেইজ এর এডমিন ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন, ইমন আহাম্মেদ ও শাহরিয়ার কবির আকাশ, হাসিবুল হাসান তন্ময়কে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডি,এম, হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরান হোসেন তুহিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।