এশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানির প্রধান সমুদ্রপথ পানামা খাল। বিশ্ববাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত পানামা খালের দুপাশে পানির স্তর খরার কারণে কমেছে। খালে আমদানি-রপ্তানির জন্য অপেক্ষা করছে শত শত জাহাজ।
বিভিন্ন গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলছে, পানামা খালের উভয় পাশে এক এক সময়ে ২০০ টিরও বেশি জাহাজ অপেক্ষমাণ। পানামা খাল পেরোতে গড়ে প্রায় চার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে জাহাজগুলিকে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেক সময় এমনও হয়েছে, যেখানে কয়েকটি জাহাজকে ২০ দিনেরও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পানামা খালের জলস্তর কমে গিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দীর্ঘ খরার কারণেই পানামা খাল সংলগ্ন পানির স্তর ধীরে ধীরে কমছে। খালে পানি সরবরাহের মূল উৎস গাতুন হ্রদ যেখানে গত সাত বছরে পানির পরিমাণ কমে এসেছে বলে পানামা খালের পানির স্তরও কমে গেছে।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
পানামা খালের অবস্থা উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা খুব একটা কাজে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে, পানামা খাল কর্তৃপক্ষ (এসিপি)।
এসিপির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পানামা খাল দিয়ে দৈনিক ৩২টির বেশি জাহাজ যাতায়াতের অনুমতি নেই। পানামা খালে পানির খরায় প্রায় ২০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি পানামা খালের জলস্তর কমতে থাকে, তা হলে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে সে দেশে।
অন্যদিকে এসিপির দাবি, খুব শীঘ্রই পানামা খালের সমস্যার সমাধান হবে। সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে দিনরাত কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।