চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

১৯ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রাজধানীতে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে, পদকে ভূষিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে স্বর্ণপদক ও চার লাখ টাকার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

ভাষা শহীদদের স্মরণ এবং একুশের চেতনাকে চির ভাস্বর করে রাখতে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য একুশে পদক প্রদান করা হয়।

এবার পদকে ভূষিত হয়েছেন, ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধে একজন, শিল্পকলায় আটজন, রাজনীতিতে দুইজন, শিক্ষায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবায় একজন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং ভাষা ও সাহিত্যে একজন করে এই পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে বিশিষ্টজন ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

ইতিহাস ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এক সময় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এই কাজ করেছিল তারা সফল হতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।

শিল্পকলা বিভাগে অভিনয় ক্যাটাগরিতে মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ এবং সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর), রাজনীতিতে আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন।

শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার পেয়েছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে।