বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এমন অজুহাতে বেড়েই চলেছে লেবুর দাম। জাত এবং আকার ভেদে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্রেতাকেই দাম শুনে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
লেবুর দাম বেশির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেছে: শীতে লেবুর চাহিদা কম ছিলো। তখন প্রতি হালি লেবু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। শীতের পর এখন গরম পড়তে শুরু করেছে। আর শরবতে লেবুর চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু এখন লেবুর মৌসুম না হওয়ায় এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বাড়তি।
খামারি পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে: আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় বছরের এ সময়টাতে লেবু গাছে যে ফুল আসে তার অধিকাংশ ঝরে পড়েছে। যার কারণে ফলন কম হয়েছে। বৃষ্টিপাত হলে শুরু হলে ফুল ঝরবে না। তখন ফলন বাড়বে। দামও কমে আসবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, রামপুরা, ঝিগাতলা, মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে- প্রতি হালি এলাচি লেবু ৪০, গোল লেবু ৪০ থেকে ৫০, কলম্বো লেবু ৬০ থেকে ৭০ এবং ভালো মানের কাগজি লেবু ৮০ থেকে ১০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ঝিগাতলা বাজারে দেখা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা এমডি আরিফুর রহমানের সঙ্গে। লেবু কিনেছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি জানান: বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন লেবু কত? বিক্রেতা তাকে জানায় ১০০টাকা। তিনি এক ডজন ভালো মানের চান। বিক্রেতা ব্যাগে ঢুকিয়ে দেওয়ার পর ১০০টাকা দিতে গেলে সে তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে- মামা ১ হালি ১০০টাকা। ১ ডজন ৩০০!
আরিফুর বলেন: আমি কিছুক্ষণ যেন বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে। পরে ৩০০টাকা দিয়ে চলে আসি। মন চাইছিল ফেরত দেই। কিন্তু লজ্জায় সেটা করতে পারলাম না।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজার থেকে ফজলুর রহমান ৮০ টাকা দরে কলম্বো লেবু কিনে আবার ফেরত দিয়েছেন বলে জানান এ প্রতিবেদককে। তিনি বলেন: বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি ৮০ টাকার কথা বলেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ৮০ টাকায় এক ডজন। নিতে চাইলে বিক্রেতা ৪টি লেবু ফজলুর রহমানে ব্যাগে তুলে দেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে লেবু ফেরত দিয়ে এসেছেন তিনি।
তবে খুচরা পর্যায়ে লেবুর দাম বেশি হলেও কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছেন না। ১০০০-১২০০ টাকা শ’ কিনে আনা লেবুও বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। সেক্ষেত্রে একজন খুচরা ব্যবসায়ী লেবু প্রতি লাভ করছে ৮ থেকে ১০ টাকা।