নেপালে ক্রুসহ ২২ জন আরোহী নিয়ে দেশটির বেসরকারী এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধস্ত হয়েছে।
এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, তারা এয়ার ৯ এনএইটি টুইন-ইঞ্জিন বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পর্যটন শহর পোখারা থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে জোমসম পর্যন্ত উড়ছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । পরে বিধ্বস্ত বিমানটি কোওয়াং গ্রামে পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারা এয়ারের বিমানটি লামছে নদীর মোহনায় বিধস্ত হয়। নেপাল সেনাবাহিনী স্থল এবং বিমান রুট থেকে সাইটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল।
নেপালের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, বিমানটিতে ক্রু সহ মোট ২২ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ৪ জন ভারতীয় এবং ৩ জন জাপানি নাগরিক ছিলেন, বাকিরা নেপালি নাগরিক।
নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে নেপাল সরকার মুস্তাং ও পোখারা থেকে দুটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে। নেপাল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারকেও অনুসন্ধানের জন্য মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাদিন্দ্র মণি পোখারেল।
বেসরকারী বিমান চালনা প্রতিষ্ঠান তারা এয়ার নেপালে ব্যাপক আকারে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং কঠিন পর্বত অবস্থানে এয়ারস্ট্রিপ সহ অন্যান্য কারণে নেপাল অভ্যন্তরীণ বিমান নেটওয়ার্কে দুর্ঘটনার রেকর্ড রয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, বিমানটি পাহাড়ী মুস্তাং জেলার লেটের “তিতি” এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এলাকাটি দেশটির পঞ্চম বৃহত্তম জেলা এবং মুক্তিনাথ মন্দিরের তীর্থস্থান।
মুস্তাং জেলা পুলিশ অফিসের ডিএসপি রাম কুমার দানি এএনআইকে বলেন, তিতির স্থানীয়রা ফোন করে আমাদের জানিয়েছে যে তারা একটি অস্বাভাবিক শব্দ শুনেছে যেন কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা অনুসন্ধান অভিযানের জন্য ওই এলাকায় একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করছি।