চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার

শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।

৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কের গাজিয়েন্তেপসহ আশপাশের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনও থেমে থেমে আঘাত হানছে আফটার শক। প্রথম আঘাতের ৯ ঘণ্টা পর একই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে বিভিন্ন দেশ।

সোমবার তুরস্কের গাজিয়েনতেপ ও সিরিয়া সীমান্তের আপশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানে তখন ঘড়িতে তখন ভোর ৪টা বেজে ১৭ মিনিট। মুহূর্তেই ধুলোয় মিশে যায় বাড়িঘর ও ভবন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসতে থাকে কান্না, আর্তনাদ, বাঁচার আকুতি।

তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েল পর্যন্ত কম্পন টের পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ৪০ বারের বেশি আফটার শক হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত আফটার শক থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন ভূতত্ত্ববিদরা। উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সদস্য দেশ। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে বরফ পড়ে বিস্তৃত এলাকা ঢেকে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা আহ্বান করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

ভূমিকম্পে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিরিয়াজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের যে এলকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সে এলাকায় ১৭ লাখ বাস্তুচ্যুত সিরীয় নাগরিকের বাস, আছে আলেপ্পোর মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বড় একটি অংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা। উদ্ধার তৎপরতায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে সিরিয়া।

তুরস্ক বিশ্বের সব চেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, উৎপত্তিস্থল মাটি থেকে মাত্র থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার নিচে হওয়ায় এবারের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা অনেক বেশি। ভূমিকম্পের সময় বেশির ভাগ মানুষ ঘুমে থাকায় এবং ওই এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি ইট ও কংক্রিটের তৈরি হওয়ায় মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৯৩৯ সালে তুরস্কের একই রকম ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিলো।