শেষ দুই বছরে খোলা বা উন্মুক্তস্থানে মলত্যাগের হার কমলেও ২০২৩ সালে এসে তা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস বলছে: ২০২৩ সালে শতকারা .৯৮ শতাংশ বা একশ’টি পরিবারের মধ্যে প্রায় একটি পরিবার উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করেছে। আগের দুই বছরে যে হার ছিলো .৭৭ শতাংশ (২০২২) ও .৮৯ শতাংশ (২০২১)। যা ২০২০ ও ২০১৯ সালে ছিলো ১.২৫ ও ১.৩৯ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে ২০১৯-২০ সালের তুলনায় ২০২১-২২ বছরে স্যানিটাইজেশন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকলেও ২০২৩ সালে তা কিছুটা খারাপ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে: দেশে মৌলিক স্যানিটাইজেশন সুবিধার আওতায় রয়েছে শতকরা ৬৯.৬৮ টি পরিবার। যা বিগত বছর গুলোর তুলনায় বেড়েছে। সীমিত আকারে স্যানিটাইজেশন সুবিধা পাচ্ছে ২৩.৯৫ শতাংশ পরিবার। অনুন্নত স্যানিটাইজেশন সুবিধা পাচ্ছে ৫. ৪৩ শতাংশ পরিবার। আর স্যানিটাইজেশন সুবিধার বাইরে থাকা .৯৮টি পরিবার উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করছে। বিগত বছর গুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে মৌলিক স্যনিটাইজেশন পরিধি বাড়লেও কমেছে সীমিত ও অনুন্নত স্যানিটাইজেশন। সীমিত ও অনুন্নত স্যানিটাইজেশনের আওতায় থাকা কিছু পরিবার মৌলিক স্যানিটাইজেশনের আওতায় যেমন এসেছে ঠিক তেমনই অবনতি হয়ে কিছু পরিবার স্যানিটাইজেশন সুবিধার বাইরে চলে এসেছে। এতে করে বেড়েছে উন্মুক্তস্থানে মল ত্যাগের হার।
মৌলিক সুবিধা থাকলেও একাধিক পরিবারের সঙ্গে টয়লেট শেয়ার করে ব্যবহার করছে ২৫.৯ শতাংশ পরিবার। এছাড়া হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে পানি ও সাবান ব্যবহার করছে ৬৫.২ শতাংশ, শুধু সাবান পাচ্ছে ১.২ শতাংশ, শুধু পানি পাচ্ছে ১৬.২ শতাংশ ও হাত ধোয়ার সুবিধা পাচ্ছে না ১৭.৪ শতাংশ মানুষ।
বিবিএসের প্রতিবেদনটিতে দেশের মানুষের জন্ম, মৃত্যু, আয়ুষ্কাল, বিয়ে, মুঠোফোন ব্যবহারের হারসহ নান বিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।