নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার। ইশতেহারে থাকা প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করে ভোটারদের সমর্থন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের ইশতেহার প্রস্তুত করেছে জাতীয় পার্টি। আগামীকাল এই ইশতেহার ঘোষণা করবে তারা।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের ইশতেহার প্রস্তুত করেছে দলটি। ইশতেহারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি। উপজেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চায় তারা।
ক্ষমতায় গেলে বেকারত্ব দূরীকরণ, দুর্নীতি-অর্থপাচার বন্ধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে চায় জাতীয় পার্টি। দলটির ইশতেহারে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালুসহ বেশিকিছু বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নীতিনির্ধারকদের দাবি, জনবান্ধব বিষয়গুলো তুলে ধরে, মানুষের ভোটের সমর্থন পেতে এগিয়ে থাকবেন তারা।
এছাড়াও শিশুশ্রম বন্ধ, সংখ্যালঘু রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা, বাজার মনিটরিংসহ ইশতেহার অগ্রাধিকার পাচ্ছে বেকারত্ব দূরীকরণের বিষয়টি। সুযোগ পেলে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে চায় জাতীয় পার্টি। দলের প্রার্থীরা ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারনায়। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে মানুষ লাঙ্গলকে ভোট দেবে বলে মনে করছেন দলটির প্রার্থীরা।