মার্কিন এয়ারফোর্স এবং বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স এর মহাকাশযান এক্স-৩৭বি আবারও মহাকাশ সফরে যাচ্ছে।
মার্কিন এয়ারফোর্স এবং স্পেসএক্স এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গত ১১ ডিসেম্বর এক্স-৩৭বি-কে মহাকাশে পাঠানো হবে। তবে সময় পরিবর্তন করে আগামী ২৮ ডিসেম্বর মহাকাশে রওনা দিবে এক্স-৩৭বি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার মহাকাশ বিমান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি ফ্যালকন হেভি রকেটে চড়ে মহাকাশে যাবে এক্স-৩৭বি।
পৃথিবীর কক্ষপথে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি দীর্ঘমেয়াদি অভিযানে পাঠানো হয়েছে এক্স-৩৭বিকে। প্রতিবার সেই মহাকাশযানের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে গোপন পেলোড। যদিও সেই পেলোডে কী থাকে, তা কখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
এক্স-৩৭বির দৈঘ্য প্রায় ২৯ ফুট এবং প্রস্থ ৯ দশমিক ৫ ফুট। ডানার দৈঘ্য ১৫ ফুটের কাছাকাছি। যে পেলোড সেই বিমানের সঙ্গে পাঠানো হয়, তার দৈঘ্য প্রায় ৭ ফুট এবং প্রস্থ ৪ ফুট। প্রতি অভিযানের সময় মহাকাশযানটির ওজন থাকে ৫ হাজার কিলোগ্রামের কাছাকাছি।
এক্স-৩৭বি নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মার্কিন এয়ারফোর্স এক বিবৃতিতে জানায়, এক্স-৩৭বি-র প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল মহাকাশে ভবিষ্যতের জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা এবং অভিযান সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে গবেষণা চালানো।
১৯৯৯ সালে আমেরিকার গবেষণা সংস্থা নাসা প্রথম এক্স-৩৭ অভিযান শুরু করে। যা প্রাথমিক ভাবে দু’টি মহাকাশযান তৈরির পরিকল্পনা করেছিল।
২০০৪ সালে মার্কিন এয়ারফোর্সের কাছে এক্স-৩৭ প্রকল্পটি হস্তান্তর করে নাসা। ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সির হাতে তুলে দেয়া হয় প্রকল্পটি।
২০০৬ সালে এএলটিভি মহাকাশযানের কাজ শেষ করে ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি। দু’টি ভিন্ন এক্স-৩৭বি বিমান মহাকাশে মোট পাঁচটি অভিযানে গিয়েছে। যেগুলি পরিচিত ওটিভি (‘অরবিটাল টেস্ট ভেহিকেল’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ)-১, ওটিভি-২, ওটিভি-৩, ওটিভি-৪ এবং ওটিভি-৫ নামে।
২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম অভিযানে গিয়েছিল এক্স-৩৭বি। ৭৮০ দিন মহাকাশে কাটিয়ে ফিরে আসে সেই যান। মহাকাশযানটি এক বার অভিযানে গেলে কেন এত দিন মহাকাশে কাটায় তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সেটি মহাকাশে কী করে, তার-ও কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।