ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নিয়েছে পরিবার ও স্বজনরা। নিহতের স্ত্রী ও সন্তানের দাবি সুদ ব্যবসায়ীর চাপে আত্মহত্যা করেছেন মোস্তাব। কিন্তু নিহতের ভাইয়ের দাবি, মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এজন্য তিনি নিহতের স্ত্রী ও ছেলেকে দায়ী করেছেন।
মোস্তাব আলী নাটোরের বাসিন্দা ছিলেন। তবে কর্মজীবনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে মোস্তাব আলীর লাশ নাটোর সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজন ও পরিবার পরস্পর বিরোধী এ দাবি করেন। একই সাথে স্বজনরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেন।
স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাসফিল্ড এলাকার ২নং কোয়ার্টারের ভবনের বাথরুম থেকে অধ্যক্ষ মোস্তাব আলীর লাশ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। ওই কোয়ার্টারে পরিবারসহ বসবাস করতেন তিনি। নিজ গ্রামেরই সুদ ব্যবসায়ী রাজুর কাছ থেকে নেয়া ৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৮ লাখ টাকার জন্য অব্যাহত চাপে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের ভাই সাজ্জাদের দাবি, তার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে অধ্যক্ষ মোস্তাকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার দাবী জানান নিহত অধ্যক্ষের স্বজনরা।
এ ঘটনায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পরিবার।