ভারতের ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামক যাত্রীবাহী রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ না হলেও ধারণা করা হচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই ঘটেছে দুর্ঘটনা।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ভারতের রেলওয়ের এক শীর্ষ কর্কমর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাড়িয়েছিল। আসলে লুপ লাইনে না ঢুকে মেইন লাইনে ধরে ভুবনেশ্বরের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। সেই ভুলের জেরেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতের রেলওয়ের তরফ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাদের মতে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসার পরই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ইতিমধ্যেই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
ভারতের রেল মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সময় ঘণ্টায় ১২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল ট্রেনটি। যা স্থানীয় ট্রেনের সাধারণ গতিবেগ। এই গতিবেগেই লুপ লাইনে থাকা মালবাহী ট্রেনটিতে ধাক্কা দেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ঘটনায় লুপ লাইন থেকে কয়েকটি বগি ছিটকে মেন লাইনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই লাইন ধরে আসা ডাউন ১২৮৬৪ এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ছিটকে যাওয়া বগিগুলোকে ধাক্কা দেয়। এতে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডাউন ট্রেনের কয়েকটি কোচ।
তবে চালকের ভুলে নাকি অন্য কারও ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাইছেন না ভারতের রেল কর্মকর্তারা। তাদের মতে, ‘কীভাবে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, কেন দুর্ঘটনা হয়েছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর বোঝা যাবে। ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে মানুষের ভুলেই সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’