
দেশব্যাপী চলা তীব্র দাবদাহের কারণে হাসফাঁস অবস্থা সবার। এই গরমের মাঝেই চলছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের টেস্টের প্রস্তুতি। টাইগার ক্রিকেটাররা যেভাবে মিরপুরে ঘাম ঝরাচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিয়ষটিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।
টানা তিন দিনের অনুশীলনের পর বুধবার যেমন বিশ্রামে কাটিয়েছে পুরো দল। সূচিতে রাখা হয়নি অনুশীলন। মিরপুরে ১৪ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টের ৫ দিন কীভাবে সুস্থ থেকে মাঠে লড়াই করা যায় সে ভাবনায় বিসিবরি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর পরামর্শ, পানি পানের বিরতি আরেকটু দীর্ঘ করার।
সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত আনঅফিসিয়াল টেস্টে দুই দলের সমঝোতায় বাড়ানো হয়েছিল বিরতি। আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচেও তা করা উচিত, বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে যে সিরিজটি ছিল, দুই দলের সম্মতির ভিত্তিতে আমরা বিরতির সংখ্যা বাড়িয়েছিলাম। টেস্ট ম্যাচেও এমন হবে কি না, সেটি ম্যাচ রেফারি অথবা দলের সঙ্গে কথা বলে একটা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা চাইব বিরতির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। অথবা কোনো ক্রিকেটার যখনই পানি বা ছায়ার জন্য ডাকবে, ওদের জন্য এই ছাড়টা যেন দেওয়া হয়।’

‘ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে আমরা ডিহাইড্রেশন প্রিভেন্ট করার জন্য প্রিহাইড্রেশন করতে বলি। অর্থাৎ খেলার আগের দিন থেকেই নিজেদের হাইড্রেশনের অবস্থাটা ধরে রাখতে হবে। এখন সূর্যের সে সরাসরি তাপটা, সেটা কমানোর জন্য আমরা সুযোগ পেলেই ঘন ঘন বিরতির ব্যবস্থা করি। ওই সময় ছায়া বা বড় ছাতার নিচে ওদের থাকতে বলি।’
‘বিরতির সময় ওদের হাইড্রেশন দেখা হয়। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ওদের সারা শরীরের অনাবৃত স্থানগুলো মুছে দেওয়া হয়। যখনই ওরা ভেতরে চলে আসে, তখনই আমরা শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় আমরা বরফ দিয়ে থাকি। বরফ দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভেতরের তাপটাকে আমরা কমানোর চেষ্টা করি। এছাড়া আইস বাথেরও ব্যবস্থা আছে।’
‘এ ধরনের তাপের কারণে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা যে পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, সেটি বেশ কয়েক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। চামড়ার ওপরের তাপমাত্রা কমে গেলেও, ভেতরে আরও অনেক দিন থাকতে পারে। এজন্য খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’-বলেন দেবাশীষ চৌধুরী।