চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ব্লু-ইকোনমি নিয়ে জাপানের সাথে আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্লু-ইকোনমি নিয়ে জাপানের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা যাতে এই ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা পাই সে কাজও করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে গণভবনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে কৃষি ক্ষেত্রে জাপান কী ধরণের সহযোগিতা করবে, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট তৈরি করেছি। কারণ এই সব কাজ করতে আমাদের লোকবল দরকার। কক্সবাজারে গবেষণা ইনস্টিটিউট তৈরি করা হয়েছে। কীভাবে সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বলতেন, কৃষিপ্রধান দেশ থেকে ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে গেছে জাপান। এটি তার কাছে একটি দৃষ্টান্ত। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার কথা ৭২ সাল থেকেই বলে আসছেন তিনি। এর উপকার আমরা সবাই জানি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ মাংস কিনতে চায়। তাদের মাংস দিতে হলে কতগুলো নিয়ম মেনে পশু পালতে হবে। মাংসের একেকটি অংশের একেকটি দাম ও নাম থাকতে হবে। সেজন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি দরকার। সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, সাভার ডেইরী ফার্মে এই ধরণের মেশিন নিয়ে আসতে। যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে সব কিছু করা যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গবেষণার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাপানের কাছ থেকে এইসব ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপার আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন টিউলিপ ফুলও হচ্ছে। একটু উৎসাহী করা হলে বাঙ্গালীরাও পারে। আজ আমরা খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি তা কি কেউ কোনদিন ভেবেছে? আমরা যখন ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলাম, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ তখন আমাদের শুনতে হলো, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তাহলে ভিক্ষা পাওয়া যাবে না। এটা তো বিএনপি বলেছিল। আমরা নাকি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে দেশের সর্বনাশ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে আহ্বান জানাবো, যার যা আছে, সেখানে যা পারেন উৎপাদন করেন। আমরা খাদ্য রপ্তানির জন্য দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি বিশেষ সংরক্ষাণাগার তৈরি করব। পণ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ পাঠাতে কার্গো কেনা হচ্ছে। ফলে যে যত বেশি উৎপাদন করবে তার তত বেশি লাভ।