চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব: পাশ মার্কেই ঘুরপাক

২০১৮ সালে সাকিব আল হাসান আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় টি-টুয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টানা চার বছরে ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জয় ১৬টিতে। সাফল্যের হার ৩৮.০৯ শতাংশ।

সাকিব চোট কাটিয়ে ফেরার কিছুদিন পর এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। পরে আর তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি অধিনায়কত্ব। বর্তমানে মাহমুদউল্লাহর অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় সাকিবকে টেস্টের পর টি-টুয়েন্টির সিংহাসন ফিরিয়ে দেয়ার গুঞ্জন বাড়ছে।

ব্যাট হাতে পারফরম্যান্স নেই মাহমুদউল্লাহর। দলও দেখছে না জয়ের মুখ। সবশেষ ১৩ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো আসর রয়েছে। গত বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে বাছাইপর্ব পেরোতেই হিমশিম খেয়েছে টিম টাইগার্স।

এ মাসেই বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফর। ওয়ানডের সঙ্গে রয়েছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। পুরো সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। ফলে এখনই তাকে অধিনায়ক করার সুযোগ নেই।

এশিয়া কাপ থেকেই নেতৃত্বে ফিরতে পারেন সাকিব। এটি অবশ্য প্রাথমিক ভাবনা বিসিবির। বৃহস্পতিবার বিসিবির প্রতিনিধি হয়ে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। নেতৃত্ব কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবনা সেটি জানতে চাইবে বোর্ড।

মাহমুদউল্লাহর আগে ২০টির বেশি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন আরও তিনজন। সাফল্যের দিক থেকে মাহমুদউল্লাহ সামান্য এগিয়ে থাকলেও তা সন্তোষজনক নয়।

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ২৮ ম্যাচে ১০ বার বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। সাফল্যের হার ৩৭.০৩ শতাংশ। ২৩ ম্যাচে বাংলাদেশ আটটি জিতেছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে। তার সাফল্যের হার ৩৬.৩৬। সাকিবের অধীনে ২১ ম্যাচে জয় ৭টি। তার সাফল্যের হার ৩৩.৩৩। টি-টুয়েন্টি সংস্করণে পাশ মার্কেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বাংলাদেশের অধিনায়কেরা।