ফিল্ডিংয়ে সেরা দল হিসেবে ক্রিকেটে চিরকাল সমাদৃত নিউজিল্যান্ড। জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট কাটবে- এমন ম্যাচে ফিল্ডিংয়েই কিউইদের হয়ে গেল গড়বড়। জোড়া জীবন পাওয়া ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় স্কোর তুলেছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার ব্রিসবেনে গ্রুপ ১-এর খেলায় টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে তোলে ৪৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হয়েছেন ভেবে মাঠ ছেড়ে যাচ্ছিলেন জস বাটলার। বাউন্ডারি লাইনের কাছে পৌঁছানোর পর টিভি আম্পায়ার তাকে নটআউট ঘোষণা করেন। দারুণ ফিল্ডিংয়ে কেন উইলিয়ামসন বল হাতে জমালেও সেটি ঘাস স্পর্শ করেছিল। আবারও বাইশ গজে ফেরেন ৮ রানে জীবন পাওয়া বাটলার।
সাবলীল ব্যাটিং করে দলের রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলার। দশ ওভার পর্যন্ত তাদের জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল। ৮১ রানের মাথায় ভাঙে ওপেনিং জুটি। স্যান্টনারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ফিফটি পান হেলস। ৪০ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন।
ত্রয়োদশ ওভারে ৪০ রানে থাকা বাটলার আবারও জীবন পান। লোকি ফার্গুসনের বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ইংলিশ অধিনায়ক। সহজ ক্যাচ দুই হাতের তালুতে নিলেও বল ফেলে দেন ড্যারিল মিচেল।
তিনে নামা মঈন আলী ৫ রান করে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ইশ সোধির শিকার হন। এরপর ফিফটি পান বাটলার।
শেষ ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ৬৯ রান জমা করে। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রানের মিনি ক্যামিও খেলেন। শেষদিকে লিভিংস্টোন, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক দ্রুত আউট হলেও থ্রি-লায়ন্সদের বড় স্কোরে বাধা হতে পারেনি। রান আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার।
কিউইদের পক্ষে ফার্গুসন ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন খরুচে। একটি করে উইকেট নেন সাউদি, স্যান্টনার ও সোধি।