
ক্রিকেট ইতিহাসে বড় এক লজ্জার মুখেই পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বহু আগে ফেলে আসা স্বর্ণযুগ পেরিয়ে দলটির পারফরম্যান্স তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ায় ক্যারিবীয়রা প্রথমবারের মতো মূলপর্বেই খেলতে পারছে না।
২০ ওভারের ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাঠের ক্রিকেটে এমন হতশ্রী চেহারায় চটেছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লিউআই) প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট। স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে সুপার টুয়েলভের আগেই বাদ পড়ে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
‘অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের দলের পারফরম্যান্সের ফলাফলে আমি গভীরভাবে হতাশা প্রকাশ করছি। আমাদের ব্যাটসম্যানদের ধীরগতির বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অক্ষমতা অব্যাহত থাকাটা অস্ট্রেলিয়ায় একটি সুস্পষ্ট দুর্বলতা ছিল। ব্যাটারদের বাজে শট নির্বাচন আমাদের সিনিয়র দলের টি-টুয়েন্টির ব্যাটিং সংস্কৃতিতে রয়েছে।’
‘২০১৯ সাল থেকে সিডব্লিউআইয়ের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা স্কেরিট আরও বলেন, আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি এবং পারফরম্যান্সের সকল দিকগুলোর উপর একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ময়নাতদন্ত করা হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট যেকোনো একটি ব্যক্তি বা ইভেন্টের চেয়ে বড়। সব নীতিনির্ধারকদের সমর্থন প্রয়োজন।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিনকে বাদ দেয়া হয়েছিল। দুইবার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ফ্লাইট মিস করায় শিমরন হেটমায়ারকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ তিন ক্রিকেটার দলে না থাকার পরও কোচ ফিল সিমন্স গণমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, তিনি টুর্নামেন্টের আগে দলের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট ছিলেন।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর সিমন্স বলেন, ‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এটা ঠিক, নির্দিষ্ট দিনে আমরা সঠিক জিনিসগুলো করতে পারিনি।’
সিমন্স দলের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাঠামোতে নজর দিতে হবে। যখন আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলি, তখন খেলার প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য যা প্রয়োজন তা করতে প্রস্তুত এবং সক্ষম কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।’