চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চ্যাম্পিয়ন হতে ১৩৮ চাই ইংল্যান্ডের

বোর্ডে রান বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টায় সফল হয়নি পাকিস্তান। স্যাম কারেন ও আদিল রশিদের বোলিংয়ের সামনে পারেনি সুবিধা করবে। বাবর আজমের দলের পুঁজি দেড়শ কাছেও যায়নি। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৩৮ রান।

মেলবোর্নে বৃষ্টি শঙ্কার মাঝে শুরু হয়েছে খেলা। টসে হেরে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলেছে। কেউ পাননি ফিফটির দেখা।

রোববার ফাইনালের প্রথম বলটি নো করে বসেন স্টোকস। পরের বলটি ইংলিশ তারকা করেন ওয়াইড। ফ্রি-হিট কাজে লাগাতে পারেননি রিজওয়ান। প্রথম বৈধ বলটি থেকে আসেনি কোনো রান।

ঘটনাবহুল প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে মিডঅনে বল ঠেলে ঝুঁকি নিয়ে রান নিতে দৌড়ান রিজওয়ান। বল চলে যায় জর্ডানের হাতে। দ্বিধা তৈরি হওয়ায় দৌড় থামান রিজওয়ান, পরে আবার ছুটতে থাকেন। জর্ডানের থ্রো স্টাম্পে লাগলে রান আউট হতেন রিজওয়ান।

রানআউট থেকে বেঁচে গেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রিজওয়ান। পেসার কারেনের অফ স্টাম্পের উপরের বলে শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে স্টাম্প এলোমেলো করে ফেলেন। এক ছক্কায় তার ১৫ রানের ইনিংস থামে।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৩৯ রান। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেটের দেখা পান আদিল রশিদ। লং অনে স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন এক চারে ৮ রান করা হারিস।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন বাবর ও মাসুদ। লিভিংস্টোনের করা একাদশতম ওভারে ১৬ রান তুলে নেয় পাকিস্তান, দিতে থাকে বড় স্কোরের ইঙ্গিত।

পরের ওভারে আবারও ইংল্যান্ডকে উইকেট এনে দেন রশিদ। তার গুগলি একেবারে নিচু হয়ে যায়। ২৮ বলে ২ চারে ৩২ রান করা বাবর স্টাম্প বাঁচাতে পেছনে গিয়ে কাট শট খেলতে চেয়েছিলেন। বল ব্যাটের মাঝে লেগে নন স্ট্রাইক প্রান্তে চলে যায়। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আদিল নেন দারুণ ক্যাচ। ওই ওভারে তুলে নেন মেডেন।

১৩তম ওভারে স্টোকসের বাউন্সারের কাছে কুপোকাত হন রানের খাতা না খোলা ইফতিখার। তিনি ব্যাট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও বল কানায় লেগে বাটলারের গ্লাভসে জমা হয়।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানকে পথ দেখাতে থাকে শান মাসুদ ও শাদাব খান। দুজনে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। মাসুদের বিদায়ে ভাঙে ৩৬ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। ২৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করার পর কারেনের বলে ফ্লিক শট খেলে মিডউইকেটে লিভিংস্টোনের তালুবন্দি হন মাসুদ।

১৮তম ওভারে ১৪ বলে ২ চারে ২০ রান করে শাদাব ক্রিজ ছাড়েন। জর্ডানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডঅফে ওকসের হাতে ধরা পড়েন। নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভারে ৫ রান করা নেওয়াজের উইকেটও নেন কারেন। চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাওয়ার আশায় পাকিস্তান বড় ধাক্কা খায়।

শেষ ওভারে বল হাতে নেন জর্ডান। প্রথম দুই বলে রান নিতে না পারা ওয়াসিম ৪ রান করে লিভিংস্টোনের ক্যাচ হন। জর্ডান ৫ রানের বেশি খরচ করেননি।

বল হাতে ঝলসে উঠে রেকর্ড গড়েছেন কারেন। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো আসরে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তিনিই এখন সর্বাধিক শিকারি। ২০১০ বিশ্বকাপে রায়ান সাইডবটম ও গ্রায়েম সোয়ান এবং ২০১৬ বিশ্বকাপে ডেভিড উইলি নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। কারেনের উইকেট সংখ্যা এখন ১৩।

৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট পাওয়া কারেন এখন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগারের মালিক। ২০১২ বিশ্বকাপে ১২ রান খরচায় ৪ উইকেট পেয়েছিলেন লঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। একই ম্যাচে ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সুনীল নারিন।