কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে সুযোগ ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে প্লে-অফ নিশ্চিতের। তবে তা করতে পারেনি লিটন-কায়েসরা। সিলেটের কাছে হার দেখেছে ১২ রানে। তাতে অপেক্ষা বেড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের প্লে-অফ নিশ্চিতে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনে প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে সিলেট। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে। জবাবে ৬ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লা।
ম্যাচে নামার আগে কুমিল্লার পয়েন্ট ছিল ৯ ম্যাচে ১৪। ২ পয়েন্ট পেলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। যদিও পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে প্লে-অফের দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে আছে তারা।
অন্যদিকে কুমিল্লার বিপক্ষে জয়টি অবশ্য সিলেটের জন্য স্বান্তনাস্বরূপ। প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গেছে তারা। ১১ ম্যাচে কেবল জয় পেয়েছে চারটিতে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের ছয়ে।
১০ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রংপুর রাইডার্স, সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে বরিশাল। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে চট্টগ্রাম। ১০ ম্যাচে পাঁচ জয়ে পাঁচে খুলনা। তিন দলই টিকে আছে প্লে-অফের দৌড়ে। আর দুর্দান্ত ঢাকা আসর শেষ করেছে মাত্র ১টি জয় নিয়ে।
সিলেটের হয়ে ঝলক দেখিয়েছেন বেনি হাওয়েল। চারটি ছক্কা ও ছয়টি চারে ৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। কেন্নার লুইস করেছেন ২৫ বলে ৩৩ রান। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন করেন ২০ বলে ২৮ রান। বাকীদের মধ্যে জাকির হাসান ১৮ রান শান্ত ১২ রান করেন।
বল হাতে কুমিল্লার রিশাদ হোসেন ও সুনিল নারিন দুটি করে উইকেট নেন। মুশফিক হাসান নেন একটি।
জবাবে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখেছে কুমিল্লা। অধিনায়ক লিটন কুমার দাস টেনে নিয়েছেন দলকে। তিনটি ছক্কা ও ৭টি চারে ৫৮ বলে করেন ৮৫ রান। শেষের দিকে আন্দ্রে রাসেল ১৪ বলে ২৩ রান করেন। এছাড়া তাওহীদ হৃদয় ১৫ বলে ১৭ রান জনসন চার্লস ২১ বলে ১২ রান করেন।
সিলেটের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব নেন তিনটি। এছাড়া সামিত প্যাটেল, শফিকুল ইসলাম ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট নেন।