চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

স্থানীয়দের হামলার শিকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

রিদুয়ান ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি 

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের বানিয়ানগর এলাকায় স্থানীয় বখাটেরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সূত্রাপুরের বানিয়ানগর ও মুরগিটোলা মোড় এলাকায় প্রথম দফায় ও সাড়ে ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তারা নিরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

এঘটনার শেষে রাতে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ ৪০-৫০ জন স্থানীয় যুবক এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও আক্রমণ করে স্থানীয় বখাটেরা। এতে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১ শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরিহিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’

তবে ঘটনার সময় পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেনো? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমি বিষয়‌টি জানার পর আহত‌দের চি‌কিৎসার ব্যবস্থা ক‌রে দি‌য়ে‌ছি। আর সুত্রাপুর ও গেন্ডা‌রিয়া দুই থানার ও‌সির সা‌থেই কথা বলে‌ছি। থানায় অভিযোগ দি‌লে অভিযুক্তদের বি‌রুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পু‌লিশ‌ যে শিক্ষার্থী‌দের উপর হাত তু‌লে‌ছে সেই ভি‌ডিওটিও ওসিকে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, ‘এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে। তবে ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

পুলিশের নিরব ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের যেতেও তো সময় লাগে। আর সেখানে যারা উপস্থিত ছিল তারা মারামারি থামানোর জন্য কাজ করেছে। এখানে নিরব ভূমিকায় থাকার সুযোগ নাই। পুলিশের মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View