এনামুল হক বিজয় ও হাবিবুর রহমান সোহান মিলে খুলনা টাইগার্সকে এনে দিয়েছিলেন লড়াকু পুঁজি। ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি। তবে দলটির জন্য আশীবার্দ হয়ে আসে প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডার রুবেল হোসেনের সহজ ক্যাচ মিস। রানের খাতা খোলার আগে ‘জীবন’ পাওয়া হেরি টেক্টর ফিফটি করে সিলেটকে এনে দেন দারুণ জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে শুরুর চার ম্যাচ হারে সিলেট। তবে পরের চার ম্যাচের তিনটিতে জয় তুলেছে তারা। বৈপরীত্য খুলনার বেলায়। টানা চার ম্যাচে জয়ের পর হ্যাটট্রিক হারের ধাক্কায় এনামুল হক বিজয়ের দল।
খুলনা টাইগার্স: ১৫৩/৩ (২০ও ওভার), সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৫৯/৫ (১৯ ওভার)
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে দেড়শ পেরোলে জয়ের পাল্লাই ভারী থাকে যে কোনো দলের। সিলেটের বিপক্ষে লড়াইয়েও এগিয়ে ছিল খুলনা। কিন্তু এক ক্যাচ মিসেই বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য।
সিলেট ওপেনার টেক্টর শুরুতে বেশ লড়াই করছিলেন। প্রথম ৭ বলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সুমন খানের বলে স্কয়ার লেগে রুবেলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলেন টেক্টর। কিন্তু দুইবারের চেষ্টাতেই তা তালুবন্দী করতে পারেননি এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাগেরহাট এক্সপ্রেস।
দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করে টেক্টরের ইনিংসই গড়ে দেয় ম্যাচে পার্থক্য। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে দারুণ দুটি জুটি গড়ে জয়ের পথ সহজ করেন। জয় থেকে দলকে কাছে রেখে ৫২ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আইরিশ ব্যাটার। ম্যাচসেরাও হন তিনি।
মিরপুরে অধিকাংশ দলই যখন আগে বোলিং বেছে নেয় সেখানে খুলনা সাহস দেখিয়ে আগে ব্যাটিং করে। ৭ ওভারে ফিফটি করা দলটির একশ ছুঁতে লেগে যায় ১৬.৫ ওভার। যদিও বিজয় ও সোহান শেষের তিন ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে দেড়শতে নিয়ে যান স্কোর। খুলনার অধিনায়ক বিজয় ৫৮ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩০ বলে ৪৩ রান করেন সোহান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৯ রান।
২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৩। এ রানও যথেষ্ট হয়নি স্লগ ওভারে বাজে বোলিংয়ের মহড়ায়। শুরুর ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি বোলিংও বাজে করেছেন রুবেল। ২ ওভারে দেন ৩৬ রান। প্রথম ওভারে চারটি ওয়াইডসহ দেন ১২ রান।
শেষ ২ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজন ছিল সিলেটের। রুবেলের ১৯তম ওভার থেকেই তা সংগ্রহ করেন রায়ান বার্ল। ১৬ বলে ৩টি ছয় ও একটি চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। বিফলে গেছে মার্ক দেওলের অসাধারণ বোলিং। ক্যারিবিয়ান অফস্পিনার চার ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন তিনটি উইকেট।