বিপিএল মাতিয়ে টি-টুয়েন্টি দলে আসার পর মাত্র একবার বাদ পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। ৪ বছরে খেলেছেন ৩৮ ম্যাচ। ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ দলে খেললেও জায়গা হল না এবারের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। কারণ হিসেবে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম জানালেন অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের কথা।
সেখানকার বাউন্সি উইকেটে টাইগারদের বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ। তাই বাড়তি পেসার স্কোয়াডে থাকবে, সেটি অনুমেয়ই ছিল। তাই কাটা পড়তে হয়েছে মেহেদীকে। অফস্পিনের পাশাপাশি যার বড় শট খেলার দক্ষতাও রয়েছে।
আর এশিয়া কাপে ওপেনিংয়ে নেমে সফল হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ তো আছেনই। ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও স্পিনটা ভালোই করছেন। এ দুজনই অফস্পিনার। বাঁহাতি স্পিনে আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ।
হাসান, তাসকিন, মোস্তাফিজ, ইবাদতের সঙ্গে বিশ্বকাপ দলে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। বাড়তি পেসার ১৫ জনের দলে নিতেই কমাতে হয়েছে স্পিনার।
শ্রীরাম এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ দলে যোগ দিলেও অল্পদিনেই মেহেদীকে বুঝে গেছেন। গুডবুকে রেখেছেন সেটি বোঝা গেল তার কথায়। দলে জায়গা দিতে না পেরে ভারতীয় কোচের আক্ষেপও ঝরল মেহেদীর জন্য।
‘আমাদের মাত্র ১৫ জনকে বেছে নিতে হয়েছে। আমি মেহেদীকে পছন্দ করি। দলের অভূতপূর্ব এক চরিত্র সে। সে দলকে চাঙা করতে পারে। আমরা বিশ্বকাপে স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে খেলব না। বাড়তি পেসারের দিকে আমাদের ঝুঁকতে হয়েছে। একজনকে বেছে নিতে হবে, মেহেদী-নাসুম খুব কাছাকাছিই ছিল। নাসুমকে নিয়েছি।’
‘ভারত, পাকিস্তানের মতো বড় দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনই এগিয়ে ছিল। আমাদের আরও অফস্পিনার রয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মেহেদীকে আমরা পাচ্ছি না। উপমহাদেশে খেলা হলে অবশ্যই প্রতিটি দলের জন্য সে দুর্দান্ত।’