চরম অর্থনৈতিক মন্দা পার করছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। চলতি বছর সেখানে এশিয়া কাপ আয়োজন পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে পড়েছে! অস্ট্রেলিয়ার সফরও বিবেচনাধীন। এমন কঠিন সময়ে বাংলাদেশে এসে টেস্ট সিরিজ জিতে নিশ্চিতভাবেই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দের বার্তা দিতে পেরেছে দলটি, নিরোশান ডিকেভেল্লার কথায় যা স্পষ্ট।
‘সব পেছনে ফেলে আমরা বাংলাদেশ সফরে এসেছি। কঠিন সময়ে এই সিরিজ জয় টনিক হিসেবে কাজ করবে। আমরা সবার জন্য আনন্দ নিয়ে ফিরছি।’
দু’দিন আগেই স্বাস্থ্য খাতের উন্নতিতে ২ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুদান দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। সামর্থ্যবান ক্রিকেটাররাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে এগিয়ে আসছেন। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দুঃসময়ে এমন দাপুটে জয় বাড়তি উল্লাসের উপলক্ষই।
চট্টগ্রাম টেস্টের শেষদিনে প্রতিরোধ গড়ে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন ডিকেভেল্লা। মিরপুর টেস্টে পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়েই নামতে হয়নি তাকে। লঙ্কান পেসারদের দাপটে মাত্র ২৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়েতে পেরেছিল মুমিনুলের দল। ১০ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজের ইতি টেনেছে লঙ্কানরা। সিরিজ জয়ের এই কৃতিত্ব পেসারদেরই দিলেন ডিকেভেল্লা।
‘আমরা এর আগে এখানে এমন উইকেটে খেলিনি। তখন বল ঘুরত। এবার সেরকম হয়নি। ফ্ল্যাট ট্র্যাক ছিল, যা ব্যাটারদের জন্য আদর্শ। আমাদের পেস বোলারা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল। দুই টেস্টেই স্পিনারদের জন্য কিছু ছিল না। যা করার পেসাররাই করেছে। ব্যাটাররা তাদের সাহায্য করেছে।’
চট্টগ্রামে কনকাশন সাব হিসেবে নেমে গলার কাঁটা হয়ে ভুগিয়েছেন কাসুন রাজিথা। ঢাকায় প্রথমদিনে মুমিনুলদের দ্রুত ফেরান তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তোলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আসিথা ফার্নান্দোকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। ফার্নান্দোর ৬ উইকেটের বিপরীতে ২টি উইকেট তার। দুই পেসারকে নিয়ে তাই বাড়তি প্রশংসাই করলেন ডিকেভেল্লা।
‘তারা শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার বলেই সফরে এসেছে। পেস বোলাররা হোমওয়ার্ক ভালোভাবেই করেছে। যখনই তাদের ডাকা হয়েছে, তাদের কাজটা করেছেন। সুযোগ পেয়ে রাজিথা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। ম্যাচে ফার্নান্দোর দুর্দান্ত ক্যাচটিই আমার কাছে টার্নিং পয়েন্ট মনে হয়।’
‘অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও চান্দিমাল অভিজ্ঞ। দুজনই রানের জন্য ক্ষুধার্ত। তারা জানত বড় স্কোরের জন্য এটাই সেরা সুযোগ। তারা দায়িত্ব নিয়ে তরুণদের চাপ কমিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল। শর্ট বলের সাথে অসিথার গতি এবং কৌশলের কারণে জানতাম এটি তাদের জন্য কঠিন হবে।’