টিম পারফরম্যান্সে পুরো এশিয়া কাপ জুড়েই চমক দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাবর-রিজওয়ানরা অবশ্য কম যাননি। ভারত, আফগানিস্তানকে টেক্কা দিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে তাদের পাকিস্তান। এবার শিরোপার লড়াই। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফাইনাল মহারণে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবর আজম।

শিরোপার লড়াইয়ে নামার দুদিন আগেই সুপার ফোরে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান। ম্যাচে লঙ্কান স্পিনারদের ঘূর্ণির সামনে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন। শুরুতে ব্যাট করে ১২১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে হাসনাইনের তোপে কিছুটা বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। চাপের আঁচ লাগতে দেননি লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৪৮ বলে ৫৫ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনি।
পুরো টুর্নামেন্টে দাপুটে খেলে আসা শ্রীলঙ্কা গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও সুপার ফোরে ধরা দিয়েছে ভিন্নরূপে। ভারত, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপারে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে। পাকিস্তানও দেখিয়েছে শক্তির প্রদর্শনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারানোর পর আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
শিরোপার মঞ্চে আগে তিনবার শ্রীলঙ্কার দেখা পেয়েছিল পাকিস্তান। ১৯৮৬, ২০০০ ও ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের আসরে এগিয়ে শ্রীলঙ্কাই, দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দ্বীপ দেশটি। ২০০০ সালে ট্রফি ঘরে তুলেছিল ইনজামাম-সাঈদ আনোয়ারদের দল।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, আসিফ আলী, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, হারিস রউফ, নাসিম শাহ।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ধানুস্কা গুনাথিলাকা, পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, ভানুকা রাজাপাকসে, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, ভানিডু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মাদুশঙ্কা, প্রমোদ মাদুশান।