এশিয়া কাপে শেষ চারে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য আফগানিস্তানকে ছুঁতে হতো ৩৭.১ ওভারের মধ্যে। নির্ধারিত ৩৭.১ ওভারের পরও আফগানদের হাতে ছিল সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ। সেই হিসাব আফগানদের কেউ জানতেনই না, জানিয়েছেন দলটির কোচ জোনাথন ট্রট।
৩৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ২৮৯ রান। যেখানে নেট রানরেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে থেকে জয় পেতে আফগানদের দরকার ছিল এক বলে ৩ রান। সেসময় ক্রিজে ছিলে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান। স্ট্রাইক প্রান্তে থেকে ৩৭.১ বলে আউট হন মুজিব। তখন ভেঙে পড়েন নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা রশিদ। কিন্তু আফগানদের হাতে তখনও ছিল সুযোগ।
শেষ ব্যাটার হিসেবে স্ট্রাইক প্রান্তে মাঠে নামেন ফজলহক ফারুকি। যদি ৩৭.২ ওভারে ২৯৩, ৩৭.৩ ওভারে ২৯৪, ৩৭.৫ ওভারে ২৯৫, ওভারের শেষে ২৯৬ এমনকি ৩৮.১ ওভারেও যদি ২৯৭ রান করত, তাহলেও লঙ্কানদের চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করতে পারত আফগানিস্তান।
৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে যদি ফারুকি একটি চার মারতেন তাহলে নেট রানরেটে এগিয়ে যেত আফগানিস্তান। অথবা তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বলে একটি ছক্কা মারলেও হতো। এমনকি একটি সিঙ্গেল নিয়ে ১৬ বলে ২৭ রানে থাকা রশিদ খানকে স্ট্রাইক প্রান্তে সুযোগ করে দিতে পারতেন ফারুকি।
ম্যাচ শেষে কোচ জোনাথন ট্রট বলেছেন, ‘আমাদের কখনই সেই হিসাবগুলো জানানো হয়নি। যা জানানো হয়েছিল তা হল ৩৭.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে। ৩৮.১ ওভারেও যে আমরা ২৯৫ বা ২৯৭ করেও টিকে থাকতে পারি তা বলা হয়নি।’
ইনিংসটা ৫০ ওভারের হলেও মূলত লড়াইটা ছিল ৩৭.১ ওভারের। আফগানদের সুপার ফোরে যেতে হলে শ্রীলঙ্কার দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে হতো ৩৭.১ ওভারে। তাহলে রানরেটে লঙ্কানদের পেছনে ফেলে সুপার ফোরে পা রাখতে পারত আফগানিস্তান। সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ অবধি দুই রানে হেরেছে আফগানবাহিনী। জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ওপেনারদের ভালো শুরুর পর কুশল মেন্ডিসের ৯২ রানে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানবাহিনী। জবাবে নেমে ৩৭.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রানে থামে আফগানিস্তান।