রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর আট মাস পর ৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার মুকুট পরলেন চার্লস। আর সেই ইতিহাসেরই সাক্ষী হতেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর।
অনামিকা খান্না ও এমিলিয়া উইকস্টেড যৌথ ডিজাইনে তৈরি ক্লাসি বার্ডট গাউনে এদিন দেখা মেলে সোনমের। মোহময়ী সেই পোশাকে অভিনেত্রীকে দেখে রীতিমত চোখ ধাঁধিয়ে যায় ভক্তদের। তবে নেটিজেনদের একাংশই আবার সোনমের সেই পোশাককে ‘বিছানার চাদরের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কারও কারও মন্তব্য, ‘পোশাকটি দেখতে বিছানার চাদরের মতো’। যদিও আমির আলি শাহ নামে একজন ফ্যাশন ব্লগার ইনস্টাগ্রামে এই ফ্যাব্রিকের ‘অনন্য ইতিহাস’ সম্পর্কে বিশেষ তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন।
সোনমের আউটফিট সম্পর্কে ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ নোটে ফ্যাশন ব্লগার আমির লিখেছেন, ‘জ্ঞান ছাড়াই’ আজকাল প্রচুর ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ব্র্যান্ড কীভাবে শিন্টজ প্রিন্ট ব্যবহার করে তা নিয়ে কথা বলেছেন। রাজ্যাভিষেকে সোনমের ‘অসাধারণ’ পোশাক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি শিন্টজ প্রিন্ট সহ একটি ভিনটেজ পোশাকের সঙ্গে সোনমের পোশাকের একটি ছবি শেয়ার করেছেন।
আমির ইনস্টাগ্রামে পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘সোনম কাপুরের এই ছবির নীচের একটি মন্তব্য পড়ুন, এতে অসাধারণ কী আছে! এটি একটি বিছানার চাদরের মতো দেখাচ্ছে। ভালো ব্যাপার হল এই ‘শিন্টজ’ প্রিন্টগুলি এখন সাধারণত বিছানার চাদর, পর্দা এবং গৃহসজ্জার সামগ্রীর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেটির উত্থান মূলত ভারতের করোমণ্ডল উপকূল থেকে। একসময় বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত প্রশংসিত হয় সেই শিন্টজ প্রিন্ট।
প্রসঙ্গত ১৭ ও ১৮ শতকের শিল্পের অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে সোনমের এই পোশাক। কাপড়ের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘ইউরোপ নিজেদের প্রিন্ট হিসেবে এটিকে দাবি করার আগে কয়েক দশক ধরে সমুদ্রের মধ্যবর্তীতে ব্যবসা চলত এই ছাপার। প্লেইন উইভ গ্লাসেড কটন ফ্যাব্রিকের উপর কাজ করা থাকত এই ধরনের। ইউরোপীয়রা ‘ভারতীয়’ ডিজাইনে তাঁদের বাড়িগুলিকে প্রাণবন্ত করে তুলতেন এই প্রিন্টের ব্যবহারে। প্রাণী এবং উদ্ভিদের ছবি আঁকা থাকত। বাইরের আবহাওয়া মেঘলা থাকার কারণে তাঁরা চোখের আরামের জন্য এই ধরনের ডিজাইনের উপর জোর দিতেন..’।
আমিরের সেই দীর্ঘ পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, সোনম মন্তব্য করেছেন, ‘দিকগুলি তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রিন্টের ডিজাইন করেছেন অনামিকা’।
সূত্র: পিঙ্কভিলা