বাংলাদেশে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়ন, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেছে সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ।
শুক্রবার সংস্থাটির ২০ বছর পূর্তিতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আশা প্রকাশ করা হয়।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, আমি একটি ভিশন নিয়ে শুরু করেছিলাম। আমি শুধু মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার একমাত্র টার্গেট। আমি তাদের কষ্ট সহ্য করতে পারিনি এবং আমি অন্যায় সহ্য করতে পারিনি। আমিট এটাও সহ্য করতে পারিনি যে, আমাদের অনেক কিছুই আছে কিন্তু তাদের কিছু নেই। ফ্রেন্ডশিপের সূচনা আসলে হৃদয় থেকে।
রুনা খান তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের সফলতার গল্পগুলো, যেখানে প্রান্তিক এলাকার প্রায় সাড়ে সাত লাখ বঞ্চিত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বিভিন্নভাবে।
ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের বোর্ড অব চেয়ার সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্রেন্ডশিপের মধ্যে বিশেষত্ব আছে তার নামের মধ্যেই। তারা কাজ করে একজন সত্যিকারের বন্ধুর মতো। প্রয়োজনে সাহায্য করে। আমি এটি বলছি কারণ আমি নিজে এটি দেখেছি এবং পেয়েছি।
সংস্থার কো-চেয়ার মার্ক এলভিনগার বলেন, শুরুর সময়ে ফ্রেন্ডশিপ নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউরোপে এর দাতা ও সমর্থকদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করে। এখন ফ্রেন্ডশিপ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চরের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রদর্শনী এবং বিয়ে পাগলা শীর্ষক চর থিয়েটারের একটি নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।
স্বাবলম্বী করা এবং স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’।
২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি। দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি যেখানকার বাসিন্দারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এমন জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। ফ্রেন্ডশিপের আছে আন্তর্জাতিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে মানুষের আশা ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার সমান সুযোগ থাকে।