প্রবাসে বসবাসরত বাঙালি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে গর্ব করেন সবাই। যারা পরিবার, দেশ থেকে দূরে বাস করেও প্রতিনিয়ত অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। তাদেরকে ‘সত্যিকারের হিরো’ বললেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান।
সম্প্রতি দুবাই গিয়েছিলেন শাকিব খান। সেখান থেকে তিনি যান আমেরিকায়। এরমধ্যেই প্রবাসী এক ভক্তের সঙ্গে দেখা। যার বয়স ২০-২১! এই বয়সেই পরিবার পরিজন দেশ ছেড়ে দূর দেশে বসবাসরত সেই প্রবাসী ভক্তকে দেখে অন্যরকম উপলব্ধি হলো ঢাকাই ছবির এই চিত্রতারকার।
যে অনুভূতির কথা আবেগঘন বার্তায় নিজের ফেসবুকেও শেয়ার করেছেন শাকিব। শুধু তাই নয়, সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন সেই প্রবাসী ভক্তের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের একটি স্থিরচিত্রও!
ঘটনাটি কোথায়, সেটি উল্লেখ না করলেও শাকিব লিখেছেন,‘হোটেল লবি দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাকে দূর থেকে দেখে দৌড়ে এসে ছেলেটি জড়িয়ে ধরলো। শুরুতে সে কথা বলতে বারবার নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিল। কথা বলে জানতে পারলাম ওর বয়স হবে ২০-২১ এর মতো। যে বয়সে তার লেখাপড়া করার কথা, সেই বয়সে পরিবার স্বজনদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সবকিছু ত্যাগ করে দূর প্রবাসে থেকে পরিবারের হাল ধরেছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওভারটাইম খেটে খেয়ে না খেয়ে অর্থ পাঠিয়ে সে তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। এতেই তার আত্মতুষ্টি! তার চোখেমুখে সেই তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট দেখছিলাম।’

শাকিব নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে লিখেন, ‘চাকচিক্যের এই শহরে চোখ ধাঁধানো অনেককিছু দেখা যায়। কিন্তু আমাকে স্পর্শ করা সবচেয়ে সুন্দর অনূভুতি ছিল এটি। প্রায়ই দেশের বাইরে অচেনা মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়। যারা আমাকে হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসা জানায়। ক্ষণিকের দেখায় পাশে পেয়ে সুখ-দুঃখের অনুভূতি জানায়। এসব গর্বিত মানুষদের সঙ্গে কথা বললে আমিও মনের মধ্যে শীতল প্রশান্তি পাই।’
প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সত্যিকারের হিরো আখ্যা দিয়ে শাকিব বলেন,‘প্রবাসের বিভিন্ন শহরের কোণে লুকিয়ে আছে আমার দেশের গর্বিত এসব মানুষেরা। তাদের কারণে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমার বাংলাদেশের অর্থনীতি। সোনার বাংলা গড়তে তারা যে কতটা ভূমিকা রাখছে হয়তো তারা জানে না, অথচ নিরবে কাজ করে যাচ্ছে। আমার চোখে এই মানুষগুলো আসলেই সত্যিকারের হিরো।’