ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপের আকার ধারণ করে ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শক্তি হারানোর এর আগে দেশজুড়ে কেড়ে নিয়েছে পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ৯ জনের প্রাণ। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায় এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এখন স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করছে এবং এটি ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’
সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়ার এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং’ আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে। বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এটি এবং ওই সময় এটি স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।
অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।