আইপিএলের চলতি আসর শুরুর আগে ভারতীয় পেসার মোহাম্মাদ সিরাজের সঙ্গে জুয়ায় আসক্ত এক বাস ড্রাইভার যোগাযোগ করেছিলেন। জুয়ায় হারার পর ওই ব্যক্তি সিরাজের কাছে ভেতরের তথ্য জানতে চান।
গত মার্চে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ওডিআই সিরিজ চলাকালীন সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেই বাস ড্রাইভার। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন ইউনিটকে বিষয়টি জানিয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে খেলা ২৯ বর্ষী ক্রিকেটার।
বিসিসিআইয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের ওই বাসচালক ক্রিকেট ম্যাচগুলোতে নিয়মিত বাজি ধরেন। তিনি পেশাদার জুয়াড়ি নন। বাজিতে হেরে প্রচুর আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়েন। এরপর ভেতরের খবর জানার জন্য সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
সিরাজ অবিলম্বে রিপোর্ট করেছে। আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ লোকটিকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৩ সালে আইপিএল ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে রাজস্থান রয়্যালসের এস শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চাভান ও অজিত চাণ্ডিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে চেন্নাই সুপার কিংসের তৎকালীন কর্মকর্তা গুরুনাথ মেইয়াপ্পানকেও গ্রেপ্তার হন। চেন্নাই এবং রাজস্থান দলকে ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অপরাধে দুই বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
খেলোয়াড়দের জন্য দুর্নীতি দমন ইউনিটের একটি বাধ্যতামূলক কর্মশালা রয়েছে। সেখানে ক্রিকেটারদের ম্যাচ গড়াপেটা থেকে নিজেদের সচেতন থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। গড়াপেটার কোনো প্রস্তাব পেলে তা কেউ রিপোর্ট না করলে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আইন আছে।
বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২০১৮ সালে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ ও আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেলেও তা রিপোর্ট করেননি। যার ফলে ২০১৯ সালে তাকে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।