সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের জেরে ট্রলের শিকার হচ্ছেন শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা। বিশেষ করে ‘মুজিব’ ছবির প্রিমিয়ার ছবি দেখে প্রতিক্রিয়ায় জানানোতে অনেকেই ট্রল ও রোস্ট করেছেন! বিষয়টিকে ‘বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে’ উল্লেখ করে লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম জানান, এগুলো নিয়ে লুবাবা ও পুরো পরিবার বিরক্ত। তাই ট্রলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সোমবার লুবাবার মা চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। সুস্থ হলেই দেশের প্রচলিত সাইবার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম বলেন, “লুবাবা বলেছে, কেন্দে দিছি। ও কি এমন ভুল বলেছে? এই কথাটা নিয়ে এতো ট্রল হয় তাহলে ওর মতো বাচ্চা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। হুমায়ূন আহমেদের ‘মরিলে কান্দিস না’ গানে কান্দিস ও কি তাহলে ভুল শব্দ! যারা লুবাবার সামান্য এই কথা নিয়ে ট্রল করছে, তারা কনটেন্টের ভিউ বাড়ানোর জন্য এগুলো করে লুবাবাকে ছোট করছে। লুবাবা বয়সে এখনো অনেক ছোট। তাকে নিয়ে যে ট্রল করা হচ্ছে এগুলো তার মেন্টাল গ্রোথে প্রভাব ফেলছে। সে অনেক বাংলা শব্দ না বুঝে ইংরেজি শব্দ ট্রান্সলেট করে দেখছে তারপর মন খারাপ করছে।”
“লুবাবা টিকটক করে না। তার নামে টিকটকে এবং ফেসবুকে ফেক একাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে ম্যাসেজ ছড়ানো হচ্ছে। ওগুলোতে অনেক ফলোয়ার্স। সেখানে লুবাবা সেজে বাজে কথা বলছে। পরে ওই আইডি থেকে কোনো ক্রাইম হলে এই দায় তো আমরা নেব না। লুবাবার যে আইডি পেইজ ইনস্টাগ্রাম আছে সেটা তার বাবা মামা ইউজ করে। এর বাইরে লুবাবা কিছু স্পর্শ করে না।”
লুবাবার মা জানান, মানুষ লুবাবাকে ভুল বুঝছে। এসব কারণে শিগগির কঠোরভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম।
‘মুজিব’ সিনেমা দেখেও লুবাবার মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তার মা বলেন, সিনেমা দেখে সে যতটুকু বুঝেছে তাই বলেছে। এমনকি সিনেমা দেখে সে কান্না করে। এটা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেই। কিন্তু অযথা ট্রল করলে আমরা ছাড় দেব না। লুবাবার দাদার (প্রয়াত অভিনেতা আবদুল কাদের) অনেক সুনাম আছে। আসলে শিশুশিল্পী অনেক আছে। আমরা মনে করি, অনেকেই হিংসা করে এগুলো করছে। মিডিয়াতে আরও চাইল্ড আর্টিস্ট আছে। সাংবাদিক বা ইউটিউবার যারা আছে তারা কেন লুবাবার ইন্টারভিউ নেয়? এসব কারণে লুবাবার উপর হিংসে করে এগুলো করছে।
অনেকেই বলে থাকেন, আপনার শিখিয়ে দেওয়া কথাগুলো লুবাবা বলে। উত্তরে লুবাবার মা জাহিদা বলেন, কথাগুলো লুবাবা যখন বলে আমি তো ক্যামেরার সামনে থাকি না। এমনকি তার পাশেও থাকি না। তাহলে আমি শিখিয়ে দেই কীভাবে? লুবাবা যে কথাগুলো বলে, সে তার নিজের কথাগুলোই বলে। সে কারো থেকে শুনে বলে না।