বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরুর কথা ছিল সকাল ১০টায়। মাঠে গিয়ে অবশ্য ভিন্ন চিত্রই দেখা গেল। একঘণ্টা আগেই হাজির গোলাম রব্বানি ছোটনের দল। রানিং, পাসিং, ফ্রি-কিকের পাশাপাশি সেট প্লে নিয়েও বাড়তি কাজ করলেন মেয়েরা। দুই ভাগে খানিকক্ষণ খেলতেও দেখা গেল। পোস্টের সামনে স্কোয়াডে থাকা তিন গোলরক্ষককে বল ঠেকাতে ব্যস্ত সময় পার করতে হল। ঘণ্টা দেড়েকের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাবাদ ঝরে লাল-সবুজের অধিনায়কের কণ্ঠে।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৮ দলে শামসুন্নাহার জুনিয়রের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে আর্মব্যান্ড পরে খেলা নিয়ে ভাবনার কথাও খুলে বললেন।
‘এই দলটা অনেকদিন ধরেই একসাথে আছে। অনূর্ধ্ব-১৫ এবং অনূর্ধ্ব-১৮ দলের হয়ে দুটা টুর্নামেন্ট খেলেছি। সবমিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। যেহেতু আমি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, নিজের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা থাকবে।’
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের ছয় ফুটবলার অনূর্ধ্ব-২০ দলে আছেন। তাদের দুজন গোলরক্ষক। শামসুন্নাহার মনে করেন তিনিসহ এই ছয়জনের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতীয় দল সাফের শিরোপা জেতায় তাদের উপরে দেশবাসীর প্রত্যাশাও বাড়তি থাকবে, মনে করিয়ে দিয়ে সেটিও।
‘বয়সভিত্তিক দলগুলোতে আমরা সবসময় ভালো ফলাফল এনেছি। তাই দেশবাসীর অনেক আশা। আমাদেরও আশা রয়েছে।’
শুক্রবার আসরের প্রথমদিনে নেপালের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৭টায় খেলা শুরু। প্রথম ম্যাচকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন, জানালেন শামসুন্নাহার।
‘শুরুটা যদি আমরা ভালো করি, পরের ম্যাচগুলো অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারব। আমাদের নেপালের বিপক্ষে ভালো করার চেষ্টা থাকবে। নিজেদের সেরাটা যেন দিতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে জয়ে দিয়ে শুরু করতে পারাটাই আমাদের প্রত্যাশা।’