উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের পর্দা। ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, মাসব্যাপী ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক কাতার। সোনালি ট্রফি সামনে রেখে আটটি ভেন্যুতে লড়বে ৩২ দল। বৈশ্বিক আসরটিতে সমর্থন, দল, প্রিয় খেলোয়াড়কে সাহস জোগাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ফুটবলপ্রেমী।

কোথায় কোথায় হবে হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ-উন্মাদনার মঞ্চায়ন, কোথায় উচ্ছ্বাস সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে। সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু আল খরের ‘আল বায়াত স্টেডিয়াম’র কথা।
কাতার ও উপসাগরীয় অঞ্চলের যাযাবর বেদুইনরা যে ধরনের তাঁবু তৈরি করত, তাকে বলা হত ‘বায়াত আল শা’ অর্থাৎ চুল দ্বারা তৈরি ঘর। মরুভূমির দিনের গরম আর রাতের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষভাবে গড়া হতো এসব তাঁবু। আল খোরের স্টেডিয়ামটি কাতারের সেই ঐতিহ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।
পরিবেশবান্ধব ভেন্যুটি নির্মাণ শুরু হয় ২০১৫ সালে। বিশেষভাবে সংস্কার করা হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের উন্মাদনা সামনে রেখে। ঝিনুকের আকৃতিতে গড়া স্টেডিয়ামটিতে উদ্বোধনী ম্যাচসহ বসবে পাঁচটি গ্রুপপর্বের ম্যাচ। শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের একটি করে ম্যাচও আয়োজিত হবে।
স্টেডিয়ামটিতে ৬০ হাজার দর্শক একসাথে উপভোগ করতে পারবে ম্যাচ। অতীত, বর্তমানকে সম্মান করে এবং কাতারের ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে সাজানো ভেন্যুটিতে রয়েছে বিশেষ কক্ষ, যেখানকার বেলকনি থেকে সরাসরি উপভোগ করা যাবে খেলা। আছে গাড়ি পার্কিংয়ের দারুণ ব্যবস্থা। মাঠে যাওয়ার যাতায়াতের পথেও সর্বোচ্চ সুবিধা করে রাখছে তেল নির্ভর ধনী দেশটি।
দৃষ্টিনন্দন ও সুবিধা সম্বলিত আল বাইত বিশ্বকাপ শেষে আবারও সংস্কারের ভেতর দিয়ে যাবে। তখন ৬০ হাজার থেকে ধারণ ক্ষমতা কমিয়ে ৩২ হাজারে নামিয়ে আনবে কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে বিশেষ নকশার স্টেডিয়ামটি। আল বাইত নিজেকে আলাদা করেছে আকৃতি ও ছাদ বিশিষ্ট থাকার কারণে।
আল খোর এলাকার স্টেডিয়ামটি বানিয়েছে সালিনি ও কিমোলাই নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, পরিবেশ বান্ধব নকশা, নির্মাণ ব্যবস্থাপনা ও শক্তির কার্যক্ষমতা কারণে স্থায়িত্ব সনদ লাভ করে স্টেডিয়ামটি।