ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সরকারী সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি আরব। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য সম্মত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় প্রেসিডেন্ট রাইসিকে এই আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদি বাদশাহ সালমানের একটি চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণটি এসেছে বলে জানা গেছে। তবে সৌদি আরব আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এই দুই দেশের মধ্যে বেশিরভাগ সময় বৈরি গেছে। এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানান, দুই দেশই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে তিনি বৈঠকের স্থানগুলোর নাম বা তারিখ সম্পর্কে কিছু বলেননি।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের আলোচনার পর অপ্রত্যাশিতভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বেশ গতিশীল উন্নতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
উভয়দেশই ঘোষণা করেছে, তারা দুই মাসের মধ্যে একে অপরের দূতাবাস আবার খুলবে এবং নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ অনেকেই তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক এই উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়েছে।
সৌদি আরব ছাড়াও জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অন্যান্য আঞ্চলিক আরব প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে সম্পর্ক পুনরায় শুরু বা উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইরান।