চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সিনেমা নির্মাণকে জীবনের আশ্রয়স্থল করতে চাই: সঞ্জয় সমদ্দার

১০ নভেম্বর চরকিতে আসছে সঞ্জয়ের ওয়েব ফিল্ম ‘দাগ’

কুড়িয়ে পাওয়া একটি নবজাতক শিশুকে ঘিরে গল্প। যে শিশুটিকে উদ্ধার করেন মোশাররফ করিম। তিনি অভিনয় করছেন পুলিশ চরিত্রে। কিন্তু এই বাচ্চাটি কীভাবে এলো? এগিয়ে যায় গল্প। আর এই গল্পের নাম ‘দাগ’। এটিকে ওয়েবের পর্দায় তুলে ধরেছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার।

১০ নভেম্বর ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে উন্মুক্ত হবে ওয়েব ফিল্মটি। তার আগে প্রকাশ হয়েছে ‘দাগ’র ট্রেলার। রহস্যে ঘেরা এই ট্রেলারটিকে অনেকটা সিনেম্যাটিক ফরম্যাটে তুলে ধরেছেন নির্মাতা সঞ্জয়।

এর আগে ‘ট্রল’, ‘গেইম ওভার’, ‘অমানুষ’, ‘যে শহরে টাকা ওড়ে’, ‘পলিটিক্স’ কনটেন্টগুলো বানিয়ে নির্মাতা হিসেবে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন সঞ্জয় সমদ্দার। ‘দাগ’-এর ট্রেলার দেখে দর্শকরা ধারণা করছেন, রোম্যান্টিক ধাঁচের গল্পের বাইরে ভিন্ন কিছু তুলে ধরেছেন নির্মাতা সঞ্জয়।

তিনি বললেন, সবসময় আমি গল্প বলার ক্ষেত্রে সৎ থাকি। এ জন্য হয়তো দর্শক পছন্দ করে। দাগ-এ গল্পের মেরিট, ‘ম্যান ভার্সেস সোসাইটি’।

‘গল্পে সমাজের কোনো অসঙ্গতি তুলে ধরা আমার উদ্দেশ্য নয়। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প দেখাচ্ছি। সেখানে দর্শক যদি অসঙ্গতি খুঁজে পায় তাহলে সেটা হবে দর্শকের উপরি পাওনা। মোটকথা সমাজের সঙ্গতি কিংবা অসঙ্গতি আমি বলে দিতে চাইনা। দর্শক কনটেন্ট দেখে বুঝতে পারবে।’

‘দাগ’ এর বিভিন্ন চরিত্রে মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন আয়েশা খান, নিশাত প্রিয়ম, আনিসুক হল বরুন, সমু চৌধুরী, রেশমা আহমেদ প্রমুখ।

সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ওয়েবের কাজগুলো বড় পরিসরে হয়। এখানে বাজেট বেশি থাকে। সবকিছুতে চাহিদা মতো ব্যয় করা যায়। নির্মাতা হিসেবে বিষয়টি তৃপ্তি দেয়। এখানে সো কলড চ্যালেঞ্জ নেই যে এতো ভিউ দিতেই হবে। এখানে গুড কনটেন্ট বানানো চ্যালেঞ্জ থাকে, যেটা দর্শক পে করে দেখে।

ছোট পর্দার মোশাররফ করিম, নিশো, অপূর্ব, তিশা, মেহজাবীনদের ভিন্নভাবে তুলে ধরে এসব তারকার ভক্তদের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন সঞ্জয় সমদ্দার। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার গল্প বলার ধরন দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। দর্শকদের কথা, সঞ্জয়ের ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ইলিমেন্ট স্টোরি টেলিং।

এ কারণে নির্মাতা হিসেবে সঞ্জয়ের নামের আগে লেগেছে জনপ্রিয়তার ট্যাগ! ফলে দর্শকরা সঞ্জয়কে সিনেমা নির্মাণে অনুপ্রাণিত করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালে আমার বানানো সিনেমা মুক্তি পাবে। আমি বড় পর্দাতেই নিয়মিত হতে চাই। একবার বড় পর্দায় কাজ শুরু করলে আর পিছনে ফিরতে চাই না। সিনেমা নির্মাণকে জীবনের আশ্রয়স্থল করতে চাই। এটা সত্যি যে ছোট পর্দায় অনেকসময় কমপ্রোমাইজ করতে হয়, কিন্তু বড় পর্দার ব্যাপারটাই আলাদা। তাই সেখানে গিয়ে কোনোভাবে ব্যালেন্স করতে চাই না।

যোগ করে তিনি বলেন, সবকিছু গোছাতে এজন্য সময় লাগছে। তবে এতটুকু বলতে পারি সবগুলো রেডি হচ্ছে। শিগগিরই সিনেমা নির্মাণে আসছি।