
পাকিস্তানে নতুন অর্থ বছরের বাজেটের বেশির ভাগই ব্যয় করা হচ্ছে বিদেশি ঋণ পরিশোধে। বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণও প্রায় শূন্য। এরপরও সরকারি কর্মীদের মন রক্ষার্থে ৩৫ শতাংশ বেতন বাড়াচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো গতকাল শুক্রবার বাজেট পেশ করেছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। ১৪.৫ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপির বাজেটের ৭.৩ লক্ষ কোটি টাকাই ধার মেটানোর কাজে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে বিনিয়োগকারী এবং বিদেশি ঋণদাতাদের আস্থা অর্জনের জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি এখন আকাশছোঁয়া। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও নিঃশেষিত হতে চলেছে। এই অবস্থায় বৈদেশিক বাণিজ্য চালাতে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বিনিময় প্রথার অনুকরণে পণ্যের বিনিময়ে পণ্য ফর্মুলায় এগোতে চাইছে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৩৫ শতাংশ এবং অবসরকালীন ভাতা ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা জানানো হয়েছে দেশটিতে। আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতেই পাকিস্তানের সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঋণ দেওয়ার প্রাথমিক শর্ত হিসাবে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ) আগেই পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েছিল, নতুন করে কোনও প্রকল্প চালু করতে পারবে না তারা। তবে গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের দায়ভার চাপিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘাড়েই।

তিনি জানান, ইমরান খানের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই পাকিস্তানের এই অবস্থা।