আসছে শুক্রবার মাঠে গড়াচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠের আসরের জন্য শক্তিশালী দল দিয়েছে বাংলাদেশ। ২৩ সদস্যের দলের চেয়েও তাদের সঙ্গে চারজন টিম লিডারের অন্তর্ভুক্তি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রোববার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানোর পর থেকেই ফুটবলপাড়ায় চলছে নানান কথা।
বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিককে টিম লিডার-১ করা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী হয়েছেন টিম লিডার-২। সঙ্গে রয়েছেন আরও দুই সহকারী টিম লিডার, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এবং টিপু সুলতান।
অথচ ম্যানেজার হিসেবে আমিরুল ইসলাম বাবু ও বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি দলের সঙ্গে থাকছেনই। সঙ্গে থাকছেন তিন সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও মিডিয়া ম্যানেজার। এরপরও স্কোয়াডের সঙ্গে চারজন টিম লিডার কেনো রাখা হচ্ছে, সেটির কোনো সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনদিন আগের সেই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছিলেন, ‘মহিলা ফুটবল নিয়ে আমাদের কমিটির অনেকেই কাজ করে এবং এ ব্যাপারে আগ্রহী। আমরা সবাইকে পাশে রাখতে চাই। মানিক ভাই সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র তাই তাকে টিম লিডার-১ করা হয়েছে।’

হিমালয় কোলে ঝড় তুলে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ জাতীয় দল। নতুন ইতিহাস গড়া সেই দল ভাসে প্রশংসাবন্যায়। অবধারিতভাবেই তাদের নিয়ে তৈরি হয় বাড়তি আগ্রহ আর উন্মাদনা। বয়সভিত্তিক দলগুলো তারও আগে থেকেই সাফল্যের দেখা পাচ্ছে নিয়মিতই। সে কারণেই নিজেদের কৃতিত্ব জাহিরে অনেকে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছাপোষণ করছেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো দলের এতসংখ্যক টিম লিডার থাকার ঘটনা নজিরবিহীন।
চারজন টিম লিডার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের সঙ্গে রাখা নিয়ে ফুটবল পাড়ায় একটি আলোচনা জোড়াল। যদি এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে বরাবরের মতো ক্রীড়াপ্রেমী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ডেকে পুরস্কৃত করবেন। আর রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ছবি তুলে আলোচনায় আসার সুযোগটা অনেকেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না। সামাজিক মর্যাদা বাড়িয়ে নেয়ার, সুবিধাটা আদায়ের এটাই যে বড় কৌশল হয়ে উঠেছে এখন, এমন সমালোচনাও হচ্ছে বাফুফেপাড়ায়।