আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেক হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর বয়সে। দীর্ঘ সময়ের ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সব অর্জনে নিজেকে অন্য মাত্রায় তুলেছেন ভারতীয় সাবেক। ক্যারিয়ারের সাফল্যের পেছনে শচীন মনে করেন, ফিটনেস ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়াটাই বেশি জরুরি ছিল। যে কারণে বাবার এক আদেশ আজও মানছেন শচীন।
ফিটনেস ঠিক রাখতে জীবনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে বহু প্রস্তাব পেলেও সবগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছেন লিটল মাস্টার খ্যাত মহাতারকা। মহারাষ্ট্র সরকারের স্বচ্ছ মুখ অভিযানের (এসএমএ) এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার এমন বলেছেন শচীন। মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ‘স্মাইল অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
শচীনের বাবা রমেশ টেন্ডুলকার মারা গেছেন ১৯৯৯ সালে। ক্যারিয়ার শুরুর ১০ বছরের মধ্যে বাবাকে হারিয়েছিলেন কিংবদন্তি, তবে এখনও মানেন বাবার দেয়া নিষেধ।
৫০ বর্ষী শচীন বলেছেন, ‘যখন ভারতের হয়ে খেলতে শুরু করি, তখন সবেমাত্র স্কুল থেকে বেরিয়ে এসেছি। সেসময় অনেক বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পেতে থাকি। কিন্তু বাবা আমাকে বলেছিলেন, কখনোই যেন তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার না করি। এরপর এসব পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য যত প্রস্তাব পেয়েছি, কোনটিই গ্রহণ করিনি।’
লক্ষ্য অর্জনে সুস্বাস্থ্যই ক্যারিয়ারের এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে শচীনকে। এমন বলেছেন, ‘মুখের স্বাস্থ্য ভালো মানে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো। ছোটবেলায় অনেক খেলতাম, কিন্তু ক্রিকেটেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। যত বড় হয়েছি, ফিটনেস সম্পর্কে শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। ফিট ছাড়া লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়।’
অনুষ্ঠানে শিশুদের মুখের রোগে নজর দিতে বলেছেন শচীন, ‘পঞ্চাশ শতাংশ শিশু মুখের রোগে আক্রান্ত। এসব তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে, কিন্তু এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। এধরনের জিনিসগুলো শিশুদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।’
ভারতের ওরাল হাইজিন ক্যাম্পেইনটি হল ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) একটি জাতীয় প্রচারাভিযান। মানুষের মুখের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করার লক্ষ্যে তারা এ প্রচারণা চালিয়ে থাকে। ভারতীয়দের মুখের সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানানোর লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে সংস্থাটি।