
সাও পাওলোতে একজন পুলিশ অফিসারের অনুরোধে ছবি তুলছিলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এমারসন রয়্যাল। তখন চার-পাঁচজনের একদল ছিনতাইকারী আক্রমণ করে তাদের। ঘটনার আকস্মিকতায় দুই পক্ষের মাঝে চলে ব্যাপক গোলাগুলি। সোনার চেইন ও ঘড়ি খোয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত নিরাপদে ফিরেছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফুটবলার।
ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষে ছুটি কাটাতে নিজের দেশে আছেন এমারসন। এর মাঝে পড়লেন ডাকাতের কবলে। ভক্ত সেই পুলিশ অফিসারকে ‘দেবদূত’ উল্লেখ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী রাইট ব্যাক।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সাও পাওলোতে এক নাইটক্লাব থেকে ভোর তিনটার দিকে ফিরছিলেন এমারসন। তাকে চিনতে পেরে পুলিশ অফিসার ছবি তোলার অনুরোধ করেন। সেই সময় ডাকাতের কবলে পড়েন তিনি। ডাকাতরা বন্দুকধারী ছিল। তাদের আসতে দেখে পুলিশ অফিসার গুলি চালান।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৯ রাউন্ড গুলি চলে, যার একটি এক ডাকাতের পিঠেও লেগেছে। পুলিশ বলেছে, গুলিবিদ্ধ ওই ডাকাতকে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মিডিয়ার খবর, তিনি আশঙ্কামুক্ত আছেন।

পুলিশ অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে এমারসন লিখেছেন, ‘সারাজীবন আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। ঈশ্বর পৃথিবীতে দেবদূত পাঠিয়েছিলেন, এটা আমার জীবনে নিশ্চিত করেছে। এই মানুষটিকে আমি দেবদূত বলছি, আমাকে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল।’
কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও ঘড়ি ও সোনার চেইন খোয়া গেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনার পর ভীত তিনি। এমারসনের বাবা ও ফুটবল এজেন্ট এমারসন জুলু বলেছেন, ‘পার্টি করছিলাম এবং সেখান থেকে বেরোনোর পথেই পুরো ঘটনাটি ঘটে—যা খুবই খারাপ। এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি চাই না এমনটা যেন আর কারও সঙ্গে ঘটুক।’
বার্সেলোনা থেকে গত আগস্টে ২৫.৮ পাউন্ড লন্ডনের ক্লাবে আসেন এমারসন। স্পার্সদের হয়ে গত মৌসুমে ৪১ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।