সমালোচনা শুরু হলেই যে সিআর সেভেন জ্বলে ওঠেন, ক্যারিয়ারজুড়ে এর প্রমাণ তিনি অসংখ্যবার দিয়েছেন। ৩৮ বর্ষী হয়েও চেনালেন নিজের জাত। ফুরিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, গোলের পর গোল করে রেকর্ড গড়ার নেশায় এখনো তিনি বুঁদ হয়ে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রো লিগে আল ওয়াহেদাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে আল নাসের। সবকটি গোলই করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। একইসঙ্গে ফুটবলের সকল শীর্ষ লিগে মিলিয়ে স্পর্শ করেছেন ৫০০ গোলের মাইলফক। এই কীর্তি আর কোনো ফুটবলারের নেই।
ক্লাব ফুটবলে রোনালদোর মোট গোল সংখ্যা এখন ৫০৩টি। পর্তুগালের স্পোর্টিং সিপির হয়ে ৩টি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুই দফায় ১০৩টি, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৩১১টি, জুভেন্টাসের হয়ে ৮১টি ও আল নাসরের হয়ে ৫টি গোল করে ফেলেছেন। ৪৯০ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিওনেল মেসি।
মক্কার কিং আব্দুল আজিজ স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল করে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন রোনালদো। এরপর ৪০ মিনিটে তিনি আবারো নিশানাভেদ করেন। বিরতির পর পেনাল্টি কিক থেকে বল জালে জড়িয়ে করেন হ্যাটট্রিক। সব লিগ মিলিয়ে ৬১তম হ্যাটট্রিক করে ফেললেন রোনালদো। একইসঙ্গে গড়লেন টানা ১৪টি মৌসুমে হ্যাটট্রিকের নজির। আট মিনিট পর পূরণ করেন গোলের হালি।
২০১৮ সালের মার্চে লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চারটি গোল করেছিলেন রোনালদো। পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলের জার্সিতে লিথুয়ানিয়ার বিপক্ষে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে তিনি এক ম্যাচে চারটি গোল করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে গিয়ে শুনতে হয়েছিল ফুরিয়ে গেছেন। প্রথম দুই ম্যাচে গোল না পাওয়ায় যেন সেই সমালোচনার পালে লেগেছিল হাওয়া। সৌদি সুপার কাপে আল ইত্তিহাদের কাছে পরাজয়ের পর পর্তুগিজ মহাতারকাকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আল নাসেরেরে পরিচালক বলেছিলেন, “এখান থেকে চলে যাও। আমি ২০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছি, আর সে শুধু জানে কিভাবে ‘সিউউউ’ বলতে হয়। এটা সম্ভব নয়।”