সড়কে মুহূর্তেই তাজা প্রাণ ঝরে পড়ার বিষয়টি যেন আমাদের পিছু ছাড়ছেই না। এটি বলতে গেলে আমাদের যেন গা সওয়া হয়ে গেছে। দিন দিন এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তেমনই একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে রংপুরে। সেখানে মারা গেছেন বহু মানুষ।
চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, রংপুরে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত ৫০ জনের বেশি যাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রংপুর জেলা প্রশাসন।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জ খারুভাজ সেতুর কাছে ওই সংঘর্ষ ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত যাত্রীদের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আইন রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সড়ক আন্দোলনের সময় তিনি এসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেসব আইন ও নির্দেশনা কেন পুরোপুরি মানা হয় না তা বোধগম্য নয়।
এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে একেবারেই তৎপর নয়, সেটিও নয়। তবে তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। শুধু কারও একার পক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, সড়কে মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।