বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার বাহিনী হয়ে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা বাধা দিবে তাদের তালিকা করে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সুইস ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশিদের অর্থের বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
শনিবার ২৪ জুন নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘গত ১৯ মে থেকে এই পর্যন্ত নানাভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ২১০টি মামলা, ৮৩০ জনের বেশি নেতকর্মীর গ্রেফতার ও নয় হাজার তিন’শ জনকে আসামী করেছে পুলিশ।’
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তার পরিবার নিয়ে সুইজারল্যান্ড সফরের পরপরই দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে, সুইস ব্যাংকগুলোতে রাখা বাংলাদেশিদের সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে! এই টাকাগুলো এক বছরে কারা সরিয়েছে? এটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে মানুষের মনে।’
তিনি বলেন, ‘পাইকারি হারে সারাদেশে গণগ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা কেউ বাড়িতে অবস্থান করতে পারছেন না।’
সরকারের বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করছেন তাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজারবাগ, বেইলি রোড, গণভবনকে কাশিমবাজার কুঠিতে পরিণত করা হয়েছে। আমরা খবর পাচ্ছি, প্রতিদিন সেখানে বিরোধী দল-মত নিশ্চিহ্ন করে ভোট ডাকাতি সফল করার কলাকৌশল নিয়ে বৈঠক চলছে। পুলিশ ও প্রশাসনে রাজনৈতিক রদবদল চলছে।’