বহুবার ঢাকায় এসেছেন কলকাতার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। টলিউডের পাশাপাশি এক সময় সমানতালে ঢাকাই ছবিতেও কাজ করেছেন। পেয়েছেন পরিচিতি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার ঢাকায় এলেও এমন বিব্রত হননি তিনি, যেমনটা এবার এসে হলেন!
ঋতুপর্ণার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা মোটেও শুটিং করতে গিয়ে হয়নি। অন্তত তাই দেখা গেল বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে শুটিং সেটে গিয়ে। তিনি মেকাপ নিচ্ছেন, পরিচালকের কাছ থেকে দৃশ্য বুঝে নিচ্ছেন, সহশিল্পী নিরবের সঙ্গে শুটিং সিকোয়েন্স সঠিকভাবে করার জন্য বারবার আলোচনা করছেন!
তবে কদিন আগে ঢাকার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিব্রত হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তাকে বয়স নিয়ে প্রশ্ন করায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন। এমনকি বয়স নিয়ে জিজ্ঞেস করা প্রশ্নটি প্রচার করতে বারণ করার সত্ত্বেও ফলাও করে সেই অংশটি প্রচার করা হয়! তাতে বিস্মিত এই নায়িকা।
বুধবার সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিরবের সঙ্গে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘স্পর্শ’ ছবির শুটিংয়ে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এগুলো স্রেফ ইয়োলো জার্নালিজম!’
“একজন সুপারস্টারের সঙ্গে কীভাবে প্রশ্ন করতে হয় এই সম্পর্কে যার ধারণা নেই সে এমন প্রশ্ন করে। এ ধরনের ইয়োলো জার্নালিজমকে আমি সাপোর্ট করি না। এগুলোকে বলে স্টুপিড জার্নালিজম। ২০-৩০ বছর ধরে একজন আর্টিস্ট কত স্ট্রাগলের বিনিময়ে এই জায়গায় আসে তার কোনো ধারণা নেই। এ কারণে স্টুপিড প্রশ্নের কোনো উত্তর দেব না। মুম্বাই বা সাউথে যদি এই ধরনের প্রশ্ন করা হতো তাহলে এই জার্নালিস্টকে বের করে দেয়া হতো।”
বিব্রতকর প্রশ্ন নিয়ে প্রাক্তনের এই অভিনেত্রী বলেন,“যদি কেউ এসব প্রশ্ন করা স্মার্টনেস ভাবে তাহলে আমি মনে করি এটা বোকামি। কারণ সে জায়গা কোনোদিন নিতে পারবে না।”
‘স্পর্শ’ ছবিতে ঋতুপর্ণার বিপরীতে অভিনয় করছেন নিরব। ঢাকার নতুন এই ছবি প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, গল্প, ফ্রেশ কাস্টিং এবং নতুন পরিচালক বলে এই কাজটি করছেন। তাছাড়া নতুনদের মধ্যে অনেক নতুন ভাবনা থাকে যেগুলো থেকে নতুনভাবে প্রেজেন্ট হওয়া যায়। আরেকটা বিষয় হচ্ছে একটি সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে এই ছবিটি হচ্ছে। যেমন মানুষের জীবনে বিভিন্ন সম্পর্ক আসে যা সোসাইটি জাজ করতে পারে না এই বক্তব্যটি ছবিতে আছে।
কথা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা জানান, তার ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের দর্শকদের সমর্থন অনেক বেশি। তিনি বলেন, “যখন ফেসবুক লাইভে আসি তখন শত শত মানুষ এখান থেকে ভালোবাসা জানায়। একবার বঙ্গ বাজার গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল পুরো বাজারটাই যেন আমাকে ঘিরে ধরেছে। সেদিন বুঝেছিলাম এদেশের মানুষ আমাকে কতটা ভালোবাসেন। কিছুদিন আগে বঙ্গ বাজার আগুনে পুড়েছিল আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমবেদনা জানিয়েছিলাম।”