চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

রমজানে মধ্যবিত্তের ভরসা এবার দেশি ফল

রমজানকে সামনে রেখে আমদানি ফলের বাজারে অস্বস্তি থাকলেও স্বস্তির খবর দিচ্ছে দেশি ফল। রাজধানীর বাজারগুলোতে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, খেজুরের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া তখন বাজারগুলো ভরে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন দেশি ফলে। দামও মোটামুটি হাতের নাগালের মধ্যেই আছে।

রাজধানীর কারওয়ান, হাতিরপুল, জিগাতলা, রায়ের বাজার, টাউনহল, মোহাম্মদপুর টাউনহল,  রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে মৌসুমী ফল তরমুজ, বেল, বাঙি, পেঁপে, পেঁয়ারা, আনারস, আতা, কলার যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি রয়েছে। তবে বাজার ভেদে রয়েছে দামের পার্থক্য।

যেমন কারওয়ান বাজারের পেয়ারা বিক্রেতা আমিরুল মাতুব্বর প্রতিকেজি পেয়ারা বিক্রি করছেন ৫০ টাকা কেজি। আবার টাউন হলের পেয়ারা বিক্রেতা মমিনুল সেই একই পেয়ারা বিক্রি করছেন ৮০ টাকা দরে। দু’জনের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিলো দামের পার্থক্য কেনো?

এমন প্রশ্নের জবাবে আমিরুল বলেন, গতকাল তিনি প্রতিকেজি পেয়ারা পাইকারি কিনেছিলেন ২০ থেকে ২২ টাকার মধ্যে, ওই দিন তিনি আবার বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। কিন্তু আজ তাকে প্রতি কেজি পেয়ারার জন্য ১৫ টাকা প্রতি কেজিতে বেশি দিতে হয়েছে। তাই ৫০ টাকা বিক্রি করছেন। আর টাউন হলের মমিনুল বলছেন, তারা অধিকাংশ ক্রেতাই নিয়মিত তার কাছ থেকে পেয়ারা নিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাকে ভালো মানের পেয়ারা নিয়ে আসতে হয়। ফলের মান খারাপ হলে ক্রেতা তার কাছ থেকে আর নিতে চাইবেন না। তাই তার পেয়ারার দাম একটু বেশি।

এ চিত্র প্রতিটি ফলে ক্ষেত্রে। বাজার ভেদে প্রতিটি ফল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পার্থক্যে। যেমন: তরমুজ। কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা কেজি দরে। আর অন্য বাজারগুলোতে সেটা ৪০ থেকে ৫০ টাকা। যার অর্থ হচ্ছে, একটি ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ যদি মহল্লার একটি বাজার থেকে কেউ কিনতে যান তাহলে তাকে গুণতে হবে ১২০ টাকা বেশি।

বাজার পরিস্থিতির এমন অবস্থার প্রতি ক্ষোভ জানান রামপুরা বাজারে পরিবারের জন্য বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা রাকিব আনোয়ার। তার বক্তব্য: যখন পণ্যের মূল্য কমে যায় তখন রাজধানীর অধিকাংশ বাজারের বিক্রেতারা পণ্যের দাম কমান না। আগের দামেই বিক্রি করেন। যেন সারা বছরই তারা একটা নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে রাখেন, এর নিচে বেচবেন না। আবার যখন দাম বাড়ে তখন ঠিকই দাম বাড়িয়ে দেয়।

রাকিব বলেন, এখন তরমুজের মৌসুম। সারা দেশে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাহলে কেন ৫০টাকা কেজি দরে আমাকে তরমুজ কিনতে হবে। নিউজে তো দেখি ঢাকা পর্যন্ত তরমুজ আনতে প্রতিকেজিতে খরচ পড়ে ১০ টাকা। আবার তারা কেজিতে তরমুজ কিনে না। কিন্তু বিক্রি করছে কেজিতে। একরকম বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয় বলে ক্ষোভ তার।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারে দায়িত্বশীল সংস্থার তদারকির তাগিদ ক্রেতাদের।

বাজারে থাকা অন্যান্য ফল গুলোর মধ্যে বাজার ভেদে বেল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা হালি, বড় সাইজের বাঙি ২০০ টাকা, পেঁপে ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজি, পেয়ারা ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, আনারস (জলঢুগি) ১২০ থেকে ১৫০টাকা ,আতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কলা জাত ভেদে ১০০ থেকে ১৫০টাকা ডজন পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View