আমারা অনেকেই অনেক সময় পেটব্যথা সমস্যায় ভুগী। বেশিভাগ সময় আমরা এই পেটব্যথাকে গুরুত্ব দেই না। কিন্তু প্রতিনিয়ত পেটব্যথা কোনো জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার হলে সহজে তা ধরা যায় না। ফলে দ্রুত এই রোগ নির্ণয় করা যায় না। যখন ধরা পড়ে, তখন শরীরে অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার।
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবিটিস, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপানের অত্যধিক প্রবণতা পেটের ক্যানসার ডেকে আনে।
১) খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম হলেই বদহজমের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ। তবে এই সমস্যা সাময়িক। যদি দেখেন, ওষুধ খাওয়ার পরেও মাঝেমাঝেই এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তা হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। বদহজমও কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। এই প্রকার ক্যানসারের রোগীদের বদহজমের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ায় অরুচি, সারাক্ষণ বমি বমি ভাব এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয়।
২) যে সব রোগীর এই ক্যানসার ধরা পড়ে, তাঁদের বেশির ভাগই চিকিৎসকের কাছে যান পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে। তীব্র পেটের যন্ত্রণা এই ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ। কিছু খাওয়ার পর বা শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। অনেকের ক্ষেত্রে যন্ত্রণা পেট থেকে পিঠের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।
৩) ঘন ঘন জন্ডিসে আক্রান্ত হলে কিন্তু সেটি মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত হন। তাই সাবধান হন। বার বার ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হওয়া, দীর্ঘদিন ব্যাপী জ্বর, ক্লান্তিবোধও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও মলের রঙে পরিবর্তন দেখতে পেলে, অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে গেলেও সতর্ক হোন।